Take a fresh look at your lifestyle.

নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডে সিটি কর্পোরেশনের নিয়ম ভেঙ্গে ভবন নির্মানের অভিযোগ

১২

স্টাফ রিপোর্টার: নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডে সিটি কর্পোরেশনের আইন অমান্য করে চলাচলের রাস্তা থেকে নির্ধারিত দুরত্ব না রেখে ভবন নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখ স্থানীয় সংরক্ষিত কাউন্সিলর এবং সিটি কর্পোশেনে এই অভিযোগ দিয়েছেন ২২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. মামুন হোসেন। প্রায় দের মাস আগে অভিযোগ দেয়া হলেও এ বিষয়ে কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

অন্যদিকে অভিযোগটি ভিত্তিহীন বলে এ বিষয়ে ভ্্রুক্ষেপ না করে ভবনের নির্মান কাজ অব্যাহত রেখেছেন ভবন মালিক মো. আবুল বাসার। তার দাবি যাদের কাছ থেকে জমি কিনেছেন তারাই এখন কোন কারন ছাড়া ভবন নির্মান কাজের বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। সব নিয়মের মধ্যে থেকেই তিনি নির্মানকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের সূত্র জানায়, চারতলা ভবনের ২ তলার ছাদ দেয়া শেষ হওয়ার পর তারা অভিযোগ পেয়েছেন। তাই নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি এখন সার্ভেয়ার শাখায় প্রকৃয়াধীন রয়েছে।
লিখিত অভিযোগে নির্মিতব্য ভবনের জমির সাবেক মালিক মো. মামুন হোসেন জানান, ২২ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বগুড়া কাজীপাড়া এলাকার পাবলিক হেলথ অফিস সংলগ্ন ২য় লেনে হাওলাদার ম্যানশনের সামনে ৪ তলা ভবনের কাজ চলছে। তাদের কাছ থেকে জমি কিনে ভবন নির্মান করছেন মো. আবুল বাসার। জমি বিক্রী করলেও আবুল বাসার ভবন নির্মানের সময় তার পূর্বের কথা না রেখে তাদের (মামুন) বাড়ির চলাচলের ৯ ফুট রাস্তার মধ্যে প্রায় এসে ভবনের কলম গেথেছেন।

 

এছাড়া সামনের সিটি কর্পোরেশনের যে রাস্তা রয়েছে তা থেকেও নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রাখেনি। এ জন্য চলাচলের বিরম্বনা সৃষ্টি হচ্ছে এবং নির্মানকাজের কারনে পথচারিরা রয়েছে ঝুকির মধ্যে। নির্মানকাজ শুরুর পর আবুল বাসারকে বাধা দেয়া হলে তিনি তাতে কর্নপাত না করে ৪ তলা ভবনের এক তলা শেষ করে ২ তালার ছাদ দিয়েছেন। উল্টো বাধা দেয়ার কারনে মামুনের পিতার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগও দিয়েছিলেন। তাই উপায় না দেখে স্থানীয় কাউন্সিলর ও সিটি কর্পোরেশনে অভিযোগ দিয়েছেন গত মাসে। তবে সিটি কর্পোরেশন থেকে কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন মামুন। স্থানীয় কাউন্সিলর রেশমি আক্তারকে জাননোন চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছেন। অভিযোগ দেয়ার কারনে এখন প্রতিদিন আবুল বাসারের হুমকির শিকার হচ্ছেন বলেও জানান মামুন।

 

অভিযোগের বিষয়ে গ্রামীন ব্যাংক কর্মকর্তা মো. আবুল বাসার বলেন, যারা অভিযোগ দিয়েছেন তাদের কাছ থেকেই ২০২২ সালে ৪ শতাংশ জমি কিনেছেন। যারা রাস্তা আটাকানোর অভিযোগ দিয়েছেন ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে ওই রাস্তায় তার নিজের কেনা দশমিক ২০ পয়েন্ট জমি ছাড়া আছে। এছারা হটকোনা মিলিয়ে ভবনের চতুর্পার্শে দশমিক ৮ মিটার জমি ছেড়ে নিয়মানুযায়ী ভবনের কাজ করছেন। অভিযোগকারী মামুন কিছুই করেনা। তার কোন কাজ নেই তাই হয়ত এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে অন্যকে হয়রানীর চেষ্টা করছে।

 

হুমকি দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি এই এলাকায় নতুন এসেছেন, আর অভিযোগকারীরা এলাকার ৪০ রছরের পুরাতন বাসিন্দা। তাদের ভয়ে উল্টো তিনিই আতংকিত। তাদের বিরুদ্ধে এজন্য থানায় লিখিত অভিযোগও দিয়েছিলেন। পরে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গর উপস্থিতিতে বিষয়টি মিমাংসা হওয়ার পর ভবন নির্মানের কাজ শুরু করেছেন।

 

এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের রোড ইন্সপেক্টর রাজিব বলেন, অভিযোগ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। চারতলা ভবনের দুইতলা ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। যখন ভবন নির্মান শুরু করা হয় তখন অভিযোগ পাননি। বর্তমানে বিষয়টি তিনি সিটি কর্পোরেশনের সার্ভেয়ার শাখায় হস্তান্তর করেছেন। পরবর্তি যে কোন ব্যাবস্থা এই শাখার মাধ্যমেই নেয়া হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.