Take a fresh look at your lifestyle.

অপসোনিন কোম্পানির বিরুদ্ধে ১৮ একর জমি দখলের অভিযোগ

৩২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অপসোনিন ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেডের বিরুদ্ধে ১৮ একর ১৫ শতাংশ জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমুর প্রভাব খাটিয়ে এই জমি দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীরা।

০৪মে,রবিবার দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বোরহান উদ্দিন মিলন। তিনি বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া মিসকেস (জমির নামজারি বাতিল বা সংশোধনের আবেদন) সাজিয়ে ৭ পরিবারের এ জমি আত্মসাত করা হয়েছে। জমি দখলের কাজে সহযোগিতা করেছেন এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও সাবেক সার্ভেয়ার বজলুর রহমান বজলু।

সংবাদ সম্মেলনে মিলন বলেন, ফ্যাসিষ্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দোসর সাবেক খাদ্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু অপসোনিনের অংশীদার। এছাড়া রাকিব খান ও রউফ খান নামে দুই ভাই আওয়ামী লীগের আমলে আমুর ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া মিস কেস করে। এরপর ২৩০/৬৫-৬৬ নম্বরের মিসকেসের বন্দোবস্তের মাধ্যমে তাদের ঝালকাঠির নলছিটির ৭ পরিবারের প্রায় ১৮ একর ১৫ শতাংশ ভূমি আত্মাসাত করে নেয় দুই ভাই।

অথচ নলছিটি এসিল্যান্ড অফিসের ১২ নম্বর রেজিস্ট্রার বইতে ২৩০/৬৫-৬৬ নম্বর মিস কেসের কোন অস্তিত্ব নেই। বরং ওই রেজিস্টারে তিনটি বন্দোবস্ত কেস দায়ের রয়েছে। কিন্তু নলছিটি জেএল নম্বর ১২৭ পশ্চিম চর দপদপিয়ার জমি অপসোনিন কোম্পানির মালিক রাকিব খানের নামে ৪৩১৯/১৯ দলিল এবং ৩৮২৮/২০০০ নম্বর দলিল করা হয়। যা বরিশাল সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে রেজিস্ট্রি হয়। অথচ এর মূল মালিকানা স্বত্ব ২৩০/৬৫-৬৬ মিস বন্দোবস্ত কেসটি দলিলে উল্লেখ নাই। এসকল দলিলে জাগুয়া ইউনিয়ন জেএল ১২৭ নম্বর উল্লেখ্য করেছে, কিন্তু প্রকৃত পক্ষে জাগুয়া ইউনিয়ন জেএল নম্বর ৫৪। সকল দলিল জাল জালিয়াতি মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।

তাছাড়া এই রাকিব খান ও রউফ খান কীর্তনখোলা নদীর স্রোত গতি পরিবর্তন করে, নদী ভরাট ও দখল করে পরিবেশের ভারসম্যের ব্যাঘাত ঘঠিয়ে শিল্প কারখানা গড়ে তুলেছেন। শত শত অসহায় গরীব মানুষের জমি এবং সরকারের খাস জমি অবৈধভাবে জবর দখল করেছে। এর সব কিছুর নেপথ্যে রয়েছে রয়েছেন আমির হোসেন আমু।

তিনি বলেন, এ নিয়ে ঝালকাঠি আদালতে মামলা করেছেন ভূক্তভোগীরা। মামলায় ২৩ বছর তারা কোর্টে হাজির না হয়ে, কোর্ট অবমাননা করেছেন। তারা আদালতকে তোয়াক্কা না করায়, আদালত তাদের বিরুদ্ধে জি আর মামলা নং ৩১/২৫ এবং সি আর ১৪৭/২৫ নং মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
সংবাদ সম্মেলনে মিলন আরও বলেন, আমির হোসেন আমুর অবৈধ ক্ষমতার দাপটে বহু অসহায় গরীব মানুষের ভূমি জবর দখল করে নিয়েছে। জাল-জালিয়াতির মূল হোতা অপসোনিন ফার্মার অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী বজলু রাঢী, মো. পারভেজ আহমেদ, রফিক আহম্মেদ, জসিম উদ্দিন, ফিরোজ আহমেদ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ভূক্তভোগী জালাল আহমেদ খান, জাহাঙ্গীর খান, সিরাজুল ইসলাম গাজী, সাইফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সাইফুল।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে করা অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে অপসোনিন ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের কর্মকর্তা রফিক আহমেদকে ফোন করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।

Auto House

Leave A Reply

Your email address will not be published.