Take a fresh look at your lifestyle.

অবন্তির মৃত্যুতে জড়িতের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবিতে পৃথক বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার: বরিশালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তির মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের জিরো পয়েন্টে ছাত্র ইউনিয়ন, কলেজ সংসদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি হয়।

এদিকে অবন্তির মৃত্যুকে ‘কাঠামোগত হত্যা’ দাবি করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মহানগর সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বিক্ষোভ হয়েছে। নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে সকালে এ কর্মসূচি হয়।
এ সময় ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা, প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল গঠনের দাবি জানান। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে  জবিতে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের নেতা অমর্ত্য রায় ও ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানায়।

ছাত্র ইউনিয়নের কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক সুজয় সরকারের সভাপতিত্বে ও সদস্য অর্ণব রায়ের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ব্রজমোহন কলেজ সংসদের ছাত্রনেতা ইমামুল হাসান, সাজ্জাদুল ইসলাম, নয়ন সরকার জয়, তন্বী দাস প্রমুখ।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বরিশাল শাখার কর্ম সভাপতি বিজন সিকদারের সভাপতিত্বে পৃথক কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) জেলা সমন্বয়ক ডাঃ মনীষা চক্রবর্তী, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন খোকন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বরিশাল মহানগর শাখার অর্থ সম্পাদক ফারজানা আক্তার, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ফারহান প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানবিক মানুষ তৈরি করা। সেখানে শিক্ষার্থীরাই যদি নিপীড়নের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়, তাহলে বুঝতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। কাউকে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের যোগসাজশে নিপীড়নের শিকার হয়ে জীবন দিতে হয়েছে। তাই এ খুনের দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এড়াতে পারে না।

বক্তারা আরও বলেন, এর আগেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্বারা নানাভাবে শিক্ষার্থী হেনস্থার ঘটনার আমরা জেনেছি। এখন দেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান নিপীড়কের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।  এখন যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে, তা নিপীড়কদেরকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। অনতিবিলম্বে এই খুনের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত করে বিচার করতে হবে, অন্যথায় শিক্ষার্থীরা হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকবে না।

Leave A Reply

Your email address will not be published.