নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেন, গণঅভ্যুত্থান রাতারাতি হয়নি, এর জন্য বিরোধী দলসমূহ ১৬ টি বছর ধরে সংগ্রাম করেছে। হয়ত জুলাই ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটা সফল গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এই আন্দোলনের কারণে ছাত্র-তরুণদের প্রতি মানুষের একটা অন্যরকমের আশাভরসা প্রত্যাশা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ফ্যাসিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে, আওয়ামী লীগের নতুন করে অপতৎপরতা শুরু হয়েছে।
২৪মার্চ,সোমবার বরিশাল প্রেস ক্লাবে গণ অধিকার পরিষদের কর্মী সমাবেশ শুরুর আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ভিপি নূর আরও বলেন, গত কয়েকদিনের ঘটনাগুলো সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এর পিছনে কারা কলকাঠি নাড়ছে তাদের মুখোশ উন্মোচন এখন সময়ের দাবি।জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্র নেতারা যখন সেনাবাহিনীর দোহাই দিয়ে আওয়ামীলীগকে নতুন করে পূনর্বাসনের কথা বলে তথন জনগণের মাঝে উদ্বেগ-উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয়। তবে আমরা জানতে পেরেছি ছাত্র নেতারাই সেনাপ্রধানের সাথে মিটিং করতে সেনা সদরে গিয়ে ছিলো। ছাত্রদের সেনাপ্রধান ডাকেননি।এই গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর বড় একটা ভূমিকা ছিলো, যা ভুলে গেলে চলবেনা।
সম্পর্কিত পোস্ট
তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ফ্যাসিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে, আওয়ামী লীগের নতুন করে অপতৎপরতা শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনার অপতৎপরতা বন্ধে যেন ভারত পদক্ষেপ নেয়। আমরা আমাদের চ্যানেলেও বারবার এটা বলেছি। ভারত যদি বাংলাদেশের সাথে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় তাহলে বাংলাদেশের গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা এবং গণহত্যার দোসর আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী যারা ওখানে পালিয়ে আছে তাদের ফেরত দিতে হবে।
এরপর তিনি কর্মী সমাবেশে অংশ নিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলকে বিজয়ী করতে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল জেলা সভাপতি শামিম রেজা ও সাধারণ সম্পাদক এইচএম হাসান, মহানগর সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সিনিয়র সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম সাগর, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন তালুকদার প্রমুখ।
