Take a fresh look at your lifestyle.

আমাকে আপনারা ভোট দিন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী আমার কোন দল নেই -সালাউদ্দিন রিপন

১৫

মনিরুল ইসলাম: আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী, আমার কোন দল নেই, আমি সব দলেরই লোক, কথাটি বলেছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল সদর ৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিপন,ট্রাক মার্কার প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ে যাচ্ছেন।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের, বিল্ববাড়ির মাঠে এক বিশাল জনসভার উঠান বৈঠকের নির্বাচনী উঠান বৈঠক সভায় বক্তব্য রাখেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিপন।

এ সময় তিনি শত শত উপস্থিতি মহিলাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা আমাকে আপনাদের মূল্যবান একটি ব্যালটে সিল মেরে নির্বাচিত করেন, তাহলে আমি বিগত দিনে আপনাদের পাশে নেতা না হয়েও যেভাবে সেবা দিয়েছি, নির্বাচিত হলে তার চেয়ে সেবার মান আরো বৃদ্ধি করতে পারব সরকারি ভাবে।

আমার সংসদীয় আসনের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বক্ষণ সহযোগীতা করা ছাড়াও মা-বোনদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা, একটি সাধারন অসহায় দুস্থ মানুষের জন্য, চক্ষু রোগীদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে; যা আমি বিগত সময় হতে আজ পর্যন্ত করে যাচ্ছি আপনাদের জন্য।

তিনি বলেছেন, “নির্বাচন তার নিজস্ব গতিতে হবে। এবারের নির্বাচন হল স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে আমাদের জনগণের সংগ্রাম। বিএনপির কথা মত গণতন্ত্র চলবে না। সংবিধানে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ আছে অনির্বাচিত কোনো সরকার থাকতে পারবে না। আমি শান্তিতে বিশ্বাস করি, আমার কর্মীদের উপর কোন প্রকার হামলা হলে আমি সংঙ্গে সংঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নিবো। নৌকা প্রার্থী এবং সমর্থক সকলে আমার ভাই, তাই আমাদের নির্বাচনি আচরন ওই রকম থাকা প্রয়োজন বলে জানান।

তিনি আরও বলেন, আমি ছোট বেলা থেকেই গরীব,দুঃখী মানুষের পাশে সব সময়ই থাকার চেষ্টা করেছি। তাদের দুঃখ,দুদর্শায় সব সময়ই পাশে ছিলাম।স্কুল,কলেজের ছাত্র, ছাত্রীদের লেখাপড়ার জন্য দিয়েছেন অনেক অনুদানও,প্রায় ৪০ -৪৫ হাজার লোকের জন্য চোখের চিকিৎসারও ব্যাবস্হা করেছি।

এমনকি অনেক অসহায় মা,বোনদের দিয়েছেন,সেলাই মেশিন এবং স্বাবলম্বী যাতে হতে পারে তার জন্য দিয়েছি,দুগ্ধজাত গাভী ও ছাগল।

আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী আমার কোন দল নেই সব দলের লোকই আমার। বরিশালের মানুষের স্বার্থে আমি যে কোন বালা মুসিবত মাথা পেতে নিতে রাজি আছি। আমি গরীবের বন্ধু,আমি সংসদ সদস্য নির্বাচীত হলে যারা গরীব মেধাবী ছাত্র, ছাত্রী রয়েছে তাদের লেখাপড়ার খরচের ব্যাবস্হা করবো তা সেটা সরকারি ভাবে হোক আর বেসরকারী ভাবে হোক। এমনকি প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে একজন করে পুরুষকে বিদেশে যাওয়ার ব্যাবস্থা করবো। আপনারা সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যাতে নির্বাচীত হয়ে আপনাদের পাশে থেকে সেবা করতে পারি।

 

জনসভা শুরুর আগেই হাজার-হাজার মানুষের আগমনে জনসভা স্থলটি কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.