দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, আমাদের সামনে এখন আর একটি নতুন সংকট ভুয়া সমন্বয়ক। আমার অফিসে ও ভুয়া সমন্বয়ক পেয়েছি। প্রথমত সমন্বয়ক ভুয়া হন আর প্রকৃত সমন্বয়ক হন তাকে অবৈধভাবে সুযোগ দেয়ার কোন কারণ নেই।
৩১ জুলাই,বৃহস্পতিবার বরিশাল সার্কিট হাউজে বিভাগীয় পর্যায়ে সরকারি-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নিয়ে দুর্নীতি ও হয়রানি মুক্ত নাগরিক সেবা এবং সেবার মানোন্নয়নে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন আরও বলেন, এখন আমাদের জন্য একটি বড়ো সুযোগ হচ্ছে একটা অন্তবর্তীকালীন সরকার আছে, এটার কোন রাজনৈতিক পক্ষপাত নেই। রাজনৈতিক পক্ষপাত যদি না থাকে আমাদের কাজের পরিবেশটা অনেক ভালো হয়।
আমরা অনেক সময় বলে থাকি প্রশাসনের রাজনীতিকি করন, এটা কি আসলে ব্যাপারটা তাই? নাকি উল্টো। আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখি এটা উল্টা। আমরাই বরং রাজনীতিবিদদের কাছে যাই, গিয়ে বলি স্যার আমরা আপনার সেবা দাস। কারো পক্ষে ঝুঁকে পরা আমাদের জন্য ভালো হবেনা। আমাদের কাজ হচ্ছে নিরপেক্ষ সেবা প্রদান করা। আমরা সেই সেবা প্রদান করে যাব।
চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, আমাদের সামনে আরো বড়ো চ্যালেঞ্জ আছে নির্বাচনের। প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস কথা দিয়েছেন যে- জাতিকে একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে চান। তিনি নিজে রিটার্নিং অফিসার হবেন না, আবার মাঠে নেমে তদারকিও করবেন না। তবে ওই কাজগুলো আমাদের সবার করতে হবে। কাজেই সেখানে আমাদের একটু সক্রিয় হতে হবে।
তিনি বলেন, দুদকের বেশি কাজ হওয়া উচিত ভবিষ্যতে যাতে দুর্নীতি না হয়। একটু কম কাজ হওয়া উচিত এখন যত দুর্নীতি না হয়। আগের দুর্নীতি নিয়ে একটু কম সময় নেওয়া উচিত। দুর্ভাগ্যবশত আগে কি দুর্নীতি হয়েছে সেটা নিয়ে আমরা শতভাগ সময় প্রায় কাটিয়ে দিই। আমাদেরও চিন্তাভাবনায় একটি বড়ো ধরনের ভুল আছে। এই ভুল থেকে আমাদেরও বেরিয়ে আসতে হবে। এ বিষয়ে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
আবদুল মোমেন বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন যে সকল অভিযোগ বিবেচনায় আনে তার মধ্যে সব থেকে বড় একটা অংশ বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর। এজন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানাই।
এ সভায় মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন। এর আগে চেয়ারম্যান বরিশালে দুর্নীতি দমন কমিশনের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন।