Take a fresh look at your lifestyle.

কাল থেকে শুরু ঐতিহাসিক চরমোনাইর অগ্রহায়ণের মাহফিল

৩৭
বিশেষ প্রতিবেদকঃ
আগামীকাল বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীরে মুসলমানদের আধ্যাত্বিক মহা মিলনমেলা ঐতিহাসিক চরমোনাইর বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিল।
আগামীকাল ২৭ নভেম্বর, বুধবার বাদ জোহর চরমোনাইর পীর মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম এর উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে ঐতিহাসিক এ মাহফিল।
ইতোমধ্যে মাহফিলের সকল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। সপ্তাহের শুরু থেকেই সারা দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলি¬দের আগমন শুরু হয় মাহফিলে। আনুষ্ঠানিকভাবে মাহফিল বুধবার শুরু হলেও মঙ্গলবার সকালেই একটি মাঠ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
মাহফিলের শৃঙ্খলা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির তত্ত্বাবধানে সহস্রাধিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে গঠিত এক বিশাল বাহিনী চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে চরমোনাইতে এসে পৌঁছেছে। তাদের নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও খিদমতের দায়িত্বে আলাদাভাবে দায়িত্ব বন্টন করে দেয়া হয়েছে।
মাহফিলে আগত মুসল্লীদের চিকিৎসার জন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসক টীমের মাধ্যমে মাহফিল হাসপাতালের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে ইতোমধ্যেই। সার্বক্ষণিক ৩টি এ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে মাহফিল হাসপাতালে।
মাহফিলের শেষ দিন শুক্রবার হওয়ায় এ দিনে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে। বুধবার বাদ জোহর শুরু হওয়া এ ঐতিহাসিক আধ্যাত্বিক মিলন মেলা ৩০ নভেম্বর সকাল ৮টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত হবে।
ঐতিহাসিক চরমোনাই বার্ষিক মাহফিলে ৭টি মূল বয়ানের মধ্যে পীর সাহেব মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম ৫ টি এবং শায়েখে চরমোনাই হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম ২টি বয়ান করবেন।
এছাড়াও চরমোনাই কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী সহ দেশের শীর্ষস্থানীয় দরবার সমূহের হযরত পীর সাহেবগণ এবং শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কিরামগণ বয়ান পেশ করবেন।
এছাড়াও মাহফিলের ৩ দিন ধারাবাহিকভাবে দেশ ও বিদেশের বরেণ্য ওলামায়ে কেরামগন মূল্যবান নসিহত পেশ করবেন। আগামীকাল উদ্বোধনী বয়ানে বরিশালের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
মাহফিল উপলক্ষে সারাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ সড়ক ও নৌপথে আসতে শুরু করেছে।
অগ্রহায়ণ মাহফিলের জন্য নির্ধারিত দুইটি মাঠেই সামিয়ানা টানানো শেষ। একইসাথে লাইট, মাইক ও মাহফিলের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের টেলিফোন সংযোগ স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। লাখো মুসল্লিদের শৃংখলার জন্য হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবকের বিশাল টিম এবং নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।
প্রতি বছর বাংলা মাস হিসেব করে চরমোনাইতে অগ্রহায়ণ ও ফাল্গুন মাসে দুটি মাহফিল হয়। এর মধ্যে অগ্রহায়ণ কিছুটা ছোট পরিসরে এবং ফাল্গুন মাসের মাহফিল হয় বৃহৎ পরিসরে।
Auto House

Leave A Reply

Your email address will not be published.