নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বরিশাল নগরীর চাঁদমারী এলাকার কীর্তনখোলা নদীতে জ্বালানী তেলের ড্রাম ভর্তি ট্রলারে বিস্ফোরণের ঘটনায় অগ্নিকান্ডে দগ্ধ হয়েছে ০৪ জন ও নিখোঁজ রয়েছে ০২ জন।
বুধবার বিকেলে নগরীর ত্রিশগোডাউন যমুনা তেলের ডিপো সংলগ্ন নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরবর্তীতে আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দগ্ধদের ঢাকায় প্রেরন করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরিশাল ফায়ার ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক হেলাল উদ্দিন খাঁন। ট্রালারের ইঞ্জিনরুম থেকে ঘটনার সূত্রপাত বলে প্রাথমিক ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
আহতদের মধ্য রয়েছেন মান্না, মানিক, রুবেল ও সম্পদ এরা সকলে নোয়াখালির হাতিয়া এলাকার বাসিন্দা জানা গেছে। এছাড়া নিখোঁজ ব্যক্তিদের নামপরিচয় তাৎক্ষণিক জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, জ্বালানী তেল ভর্তি একাধিক ড্রাম নিয়ে একটি ট্রলার কীর্তনখোলা নদী দিয়ে হাতিয়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। সেই তেলের ড্রামের উপর পল্ট্রি মুরগির খাবারের বস্তা রাখা ছিল। ট্রলারটি চলে যাওয়ার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে এক ব্যক্তি শরীরে আগুন নিয়ে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এসময় আরও বেশ কয়েকজন নদীতে ঝাঁপ দেন। এ ঘটনার পর পুরো এলাকায় জ্বালানী তেলের তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে জনদুর্ভোগ হয়।
বরিশাল ফায়ার ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক হেলাল উদ্দিন খাঁন বলেন, ট্রলারে বিস্ফোরণ শেষে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আমরা ধারণা করছি, ট্রলারের ইঞ্জিন রুমে প্রথম বিস্ফোরণ ঘটেছে। তারপর ইঞ্জিন রুমে রাখা জ্বালানী তেলে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন, এছাড়া আহত হয়েছেন ৪ জন। আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ ঘটনার পর ট্রলারের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক সানজিদা ইসলাম কেয়া জানিয়েছেন, চারজনের শরীরের ৮০ ভাগ দগ্ধ হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ঢাকায় প্রেরন করা হয়েছে।