Take a fresh look at your lifestyle.

দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাতের ৮ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব

স্টাফ রিপোর্টার: বিভিন্ন সময় বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় বেশকয়েকটি দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরপরই ডাকাতির ঘটনা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হলে নরেচরে বসে র‌্যাব। তারই ফলশ্রুতিতে র‌্যাব-৮ ও র‌্যাব-১০ এর যৌথ আভিযানে বরিশালের বাকেরগঞ্জ এবং রাজধানীর দক্ষিন কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী টোল প্লাজা এলাকায় থেকে ডাকাত সরদারসহ ৮ ডাকাত কে আটক করে র‌্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ০১টি খেলনা পিস্তলসহ বিপিুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র।

রোববার (৩০ জুন)  এ বিষয়ে বরিশাল র‍্যাব-৮ এর অফিসে সংবাদ সম্মেলন হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৮ এর মিডিয়া কর্মকর্তা এএসপি ফয়জুল ইসলাম।

র‌্যাবের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলাসহ বরিশাল অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বেশকয়েকটি দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। যার ফলে ওই সকল অঞ্চলের জানমাল ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হবার সম্ভাবনা ছিলো এবং জনসাধারণের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছিলো। এ ঘটনা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হলে আমরা র‌্যাব সদস্যগণ আন্তঃজেলা ডাকাত দলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করি। তারই ফলশ্রুতিতে আমরা র‌্যাব-৮ ও র‌্যাব-১০ এর যৌথ আভিযানে বরিশালের বাকেরগঞ্জ এবং রাজধানীর দক্ষিন কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী টোল প্লাজা এলাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ডাকাত দলের সরদার আব্দুল হাকিম (৪৮)সহ ৮ ডাকাত সদস্যকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, বরিশালের বাকেরগঞ্জ এলাকায় ডাকাত দলের সর্দার ১। আব্দুল হাকিম (৪৮), পিতা- মৃত ইউসুফ জমাদ্দার, মহেশপুর, ২। মিজান চৌকিদার (৪০) ৩। মোঃ রহিম হাওলাদার (৪০) এবং জধানীর দক্ষিন কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী টোল প্লাজা এলাকা থেকে ডাকাত দলের অন্যতম প্রধান সহযোগী ৪। মোঃ শাওন ইসলাম সোহাগ (২৪) ৫। মোঃ রাজা খলিফা (২৫) ৬। মোঃ নাসির হাওলাদার (৪০) ৭। মোঃ কালাম হোসেন (৩৫) ৮। মোঃ সেলিম মাতবর (৫০) কে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ০১টি খেলনা পিস্তলসহ বিপিুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র।

জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য সংখ্যা ১০/১৫ জন। আব্দুল হাকিম উক্ত ডাকাত দলের সরদার এবং শাওন ইসলাম সোহাগ তার অন্যতম প্রধান সহযোগী। তাদের নেতৃত্বে বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলাসহ বরিশাল অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা এবং মুন্সিগঞ্জ, মাদরীপুর, ঢাকা এলাকায় বাসা, অফিস, গ্যারেজসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ডাকাতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। প্রথমে দলের অন্যান্য সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় বাসা বাড়ি/অফিস/গ্যারেজসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ রেকি করে ডাকাতির জন্য সুবিধাজনক টার্গেট নির্ধারণ করতো। পরবর্তীতে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী টার্গেটকৃত বাসা/অফিস/গ্যারেজে সুড়ঙ্গো করে অথবা জানালার গ্রিল কেটে, দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ডাকাতি করতো।

এ বিষয় র‌্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.