স্টাফ রিপোর্টার : বরিশালে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন বন্ধসহ চার দফা দাবিতে বরিশালে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি দিয়েছে বিদ্যুৎ গ্রাহক ঐক্য পরিষদ।
বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় বরিশাল নগরের রুপাতলী গোলচত্বর এলাকায় মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “অবিলম্বে বরিশালে এই ভোগান্তির প্রি-পেইড মিটার বিতরণ বন্ধ করতে হবে। আমরা আর ভোগান্তির কবলে পড়তে চাই না। প্রি-পেইড মিটারের বদলে আগের মিটারেই বিদ্যুৎ বিতরণ চলবে তবে পুরোনো মিটারের ত্রুটি সংশোধন করতে হবে। মিটার রিডারদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের ঝামেলা থেকে আমাদের মুক্তি দিতে হবে।”মানববন্ধন শেষে রুপাতলীস্থ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. (ওজোপডিকো) এর পরিচালন ও সংরক্ষন সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র সরকার নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।বরিশাল বিদ্যুৎ গ্রাহক ঐক্য পরিষদের দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলুর নেতৃত্বে এসকল কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠক আরিফুর রহমান মিরাজ, মো. নিয়াজ, ব্যবসায়ী লিটন হাওলাদার প্রমুখ।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা জানতে পেরেছি গত ১৮ আগস্ট থেকে বরিশালে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তবে আমরা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারী ও নানা মহল এবং পত্র-পত্রিকার সংবাদ মাধ্যম বিভিন্ন বিরূপ অভিজ্ঞতা ও প্রভাবের বিষয়ে অবগত হয়েছি। এককথায় প্রি-পেইড মিটার এটা একটি জটিল মিটার। যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হওয়া ছাড়া আর কোনো তথ্যই সামনে আসছে না। কাজেই বরিশালে এই প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করলে অন্য জায়গার মতো এখানকার ব্যবহারকারীরা ভোগান্তি ও হয়রানির স্বীকার হবেন।
সম্পর্কিত পোস্ট
গ্রাহক ছাদিয়া আক্তার বলেন, এমনিতেই বিদ্যুৎ বিভাগ কোনো গণশুনানি না করে কৌশলে বিদ্যুতের দাম যেমন বাড়িয়ে চলছে, তেমনি বর্তমান মিটারে বিলের কাগজে রিডিং স্লাবের সংখ্যাও বাড়িয়েছে। ফলে গত ২-৩ মাস ধরে নগরবাসী আগের থেকে অনেক বেশি বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছে। তার ওপর অন্য সকল জায়গাতে গলার কাটা হয়ে দাঁড়ানো প্রি-পেইড মিটার এখানে বসালে আরও বোঝা হয়ে যাবে। প্রি পেউড মিটারের ভোগান্তি ও হয়রানি থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই।
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ গ্রাহক ঐক্য পরিষদের চার দফা দাবিগুলো হল- প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা; বিদ্যুৎ বিল থেকে ডিমান্ড চার্জ বাতিল করা; বিদ্যুতের দাম (ট্যারিফ) একই রেটে নিয়ে আসা; বিদ্যুৎ খাতে দায়মুক্তি আইন বাতিল করা।