Take a fresh look at your lifestyle.

ববি শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশ ও র‌্যাবের সাথে সংর্ঘষ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় পরিণত হয়েছে রণক্ষেত্রে। আন্দোলন কর্মসূচি পালনের সময়ে পুলিশ ও র‌্যাবের সাথে সংর্ঘষ বাধে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের।ববি ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যদের বের করে দিয়ে এলাকা দখলে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

১৮ জুলাই,বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান পটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুজয় শুভ জানান, আমরা কর্মসূচি পালনের জন্য ক্যাম্পাসে অবস্থান করছিলাম। আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি বাঞ্চাল করতে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্যে করে গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ছবি- জুয়েল মাহমুদ

তিনি আরও বলেন, যত কিছুই হোক, শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই আন্দোলন থেকে সরে যাবে না।পুলিশ ও র‌্যাবের সদস্যরা তাদের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়ে ক্যাম্পাসের সামনে থেকে সরে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে বের হতে চাইলে, পুলিশ তাদের প্রধান ফটকের ভেতরে আটকে রাখার চেষ্টা করে। তবে শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ পাল্টা টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এরপর শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং পুলিশকে লক্ষ করে আরও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ সদস্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পিছু হটে।

এরপরপরই শিক্ষার্থীরা হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে বরিশাল-কুয়াকাটা ও বরিশাল-ভোলা মহাসড়ক অবরোধ করে এবং সড়কের বিভিন্নস্থানে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের সঙ্গে স্থানীয়রাও একাত্মতা প্রকাশ করে সড়কে নেমে পড়েন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করবে এটা পুলিশকে আগেই জানানো হয়েছিল। তবে পুলিশ সেই কর্মসূচি পণ্ড করতে গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। আর ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের এমন আচরণের বিরুদ্ধে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়ী করছেন।

শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে বরিশাল-পটুয়াখালী ও বরিশাল-ভোলা মহাসড়কের ‍তিনপ্রান্তে যানবাহন আটকে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের হাতে লাঠিসোঁটা দেখে আতঙ্কে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে চলাচল করছে না।

বিএমপি বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বরিশাল-কুয়াকাটা ও বরিশাল-ভোলা মহাসড়ক অবরোধ করে। এত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় এতে ভোগান্তিতে পরেছে সাধারন মানুষ। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ও যানজট নিরসনে কাজ করছি।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.