বরিশালে কয়েক দিনের টানা ভারি বৃষ্টিপাতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। টানা বৃষ্টির কারণে নগরীর অধিকাংশ নিম্নাঞ্চলে পানি উঠে গেছে। এ কারণে ভোগান্তিতে পরেছে নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা।
অন্যদিকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণসহ কিছু সড়কে অতীতের মত জলাবদ্ধতা দেখা না দিলেও নগরীর নিচু এলাকার অধিকাংশে পানি উঠে ভোগান্তিতে পরেছে নগরবাসী।
- আমির কুটির বাসিন্দা নাসির উদ্দীন জানান, আমাদের এই এলাকায় একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে যায়। আমাদের এলাকার রাস্তাটি আগের চাইতে অনেক উঁচু করে সংস্কার করার পরও প্রতিবছরের মতো এবারও টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে রাস্তায় এক ফুটের অধিক পানি জমে গেছে যাতে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছেনা। আর এই এলাকার অধিকাংশ ঘরে পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে আবহওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টার আগের ২৪ ঘণ্টায় ৮২.৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বরিশাল নদী বন্দরকে ১ নম্বর ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
- সরেজমিনে দেখা যায়, টানা বর্ষণে বরিশাল নগরীর বটতলা,আমির কুটির, পলাশপুর, বগুড়া রোড, ভাটিখানা, রসুলপুর, মোহাম্মদপুর, কাউনিয়া ও আলেকান্দার কিছু অংশ, ধানগবেষণা রোড, বিএম স্কুল রোড, আমানতগঞ্জ, শ্রীনাথ চ্যাটার্জি লেন, রূপাতলী হাউজিংসহ অধিকাংশ নিচু সড়কে পানি উঠেছে।
তবে অতীতের মত সদর রোড, আগরপুর রোড, প্যারারা রোডসহ জনগুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা যায়নি।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা বলেন, এখন বর্ষাকাল, আগামী ২৪ ঘণ্টায় বর্ষা থাকবে। চলতি মাসের ৯-১০ তারিখ বৃষ্টি কিছুটা কমলেও থেমে থেমে পুরো মাসজুড়ে বৃষ্টি থাকতে পারে। গতকাল ৭ জুলাই ২৪ ঘন্টায় ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
মাসুদ আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ অবস্থান করছে। এর প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে বৃষ্টি হচ্ছে।
- বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী বলেন, নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচির আওতায় কয়েক মাস ধরে খাল ও ড্রেন উদ্ধার অভিযান চলছে। নগরবাসীর সহযোগিতায় আমরা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চালাচ্ছি। খাল ও ড্রেন উদ্ধার সম্ভব হলে জলাবদ্ধতা আরও কমবে বলে জানান তিনি।