নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালে জাতীয় পার্টির বিক্ষোভ মিছিলে গণ অধিকার পরিষদ বরিশাল শাখার নেতা-কর্মীদের সাথে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে।এতে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয়, জেলা ও মহানগরের ১৫ জন ও জাপার অন্তত ছয় নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
৩১ মে,শনিবার বিকেলে নগরির ফকিরবাড়ি রোড এ হামলার ঘটনা ঘটে।অপরদিকে পাল্টা প্রতিরোধের সময় হামলাকারীদের একজনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল বলেন, জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের রংপুরের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বরিশালে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে উপস্থিত হয় গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা। এসময় জাপার মিছিল থেকে দেয়া শ্লোগানের বিরোধীতা করে তারা তাদের বাঁধা দিলে আমাদের ওপর লাঠিসোঁটা এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। কিন্তু যারা হামলা চালিয়েছে, তারা কার উসকানিতে এই সন্ত্রাসীরা সাহস পেল, সেটিও সরকারকে খুঁজে বের করতে হবে।
হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম, মহানগর জাপার যুগ্ম আহ্বায়ক আকতার রহমান, জেলা সদস্য সচিব আবদুল জলিল, যুব সংহতির বরিশাল জেলা সভাপতি নজরুল ইসলাম, মহানগর সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও জাপা কর্মী মো. জুম্মান আহত হয় বলে জানান জাপা নেতারা।
সম্পর্কিত পোস্ট
হামলার ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন বলেন, আওয়ামী লীগের দোসর পার্টির মিছিল থেকে উস্কানিমূলক শ্লোগান দিতে থাকে। জাতীয় পার্টির ফ্যাসিস্টরা আওয়ামী লীগ হয়েই ফিরে এসেছে। তাদেরকে উস্কানিমূলক শ্লোগান দিতে নিষেধ করায় গণঅধিকার পরিষদের জেলা, মহানগর ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপর হামলা চালায় ফ্যাসিস্ট কায়দায়। এতে গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি শামীম রেজা, সাধারণ সম্পাদক এইচএম হাসান, মহানগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ ফরাজী, কেন্দ্রীয় যুব নেতা মিরাজ খান সহ ১৫ জন আহত হয় বলে জানান সংগঠনের জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, হামলার ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। তবে তারা একজনকে মারধর করে আহত করে পুলিশ সদস্যদের কাছে দিয়েছে। আহত সে ব্যাক্তি বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এখনো এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।