Take a fresh look at your lifestyle.

বরিশালে বিসিসি কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি পালনের বাঁধা, ব্যনার ও মাইক ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

১৩

স্টাফ রিপোর্টার: বরিশাল সিটি করপোরেশন চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের প্রতিদিনেরমত বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় ব্যনার ও মাইক ছিনিয়ে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) ১১ টায় বিসিসি নগর ভবনের গেটে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে  এ ঘটনা ঘটেছে।

আহত কল্পনা বেগম জানান, আমরা আমাদের প্রতিদিনের কর্মসূচি অনুযায়ী নগর ভবনের গেটে অবস্থান নেই। আমাদের বেতন ও চাকরির দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি দেড় মাস ধরে। কিন্তু আজ নগর ভবনের গেটে অবস্থানকালে অফিস থেকে সিও স্যার গাড়িতে করে বের হবার সময় গার্ড এসে আমাদের গেট ছেড়ে দিতে বলে। আমরা আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত গেট ছাড়বো না বললে আমাদের উপর হামলা করে তারা। এর নেতৃত্ব দেয় বিএনপির নেতা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্মচারী ইউনিয়ন সভাপতি মো.নূর খান।

দায়িত্বরত গার্ডরা এ বিষয় বলেন, আমাদের সিও স্যার বের হবেন তখন আমরা তাদের শুধু গেট ছেড়ে দিতে বলি। তখনই আমাদের উপর হামলা ঝাড়ু নিয়ে তারা। তখন তাদের সরিয়ে দিতে আমরা চেষ্টা করি।

এ বিষয় বিএনপির নেতা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্মচারী ইউনিয়ন সভাপতি মো.নূর খান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার সাথে তারা বিগত দিনে তাদের দাবি আদায় ও অর্থ কিভাবে পাবে তার বিষয় আলোচনা হয়েছে। তাদের নিয়ে বিভাগীয় কমিশনারের সাথেও সমন্বয় করে আলোচনা করেছি বিগত দিনে। কিন্তু আজ শুধু তাদের গেট ছেড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনে অনুরোধ করলে তাদের সাথে ভুল বোঝাবুঝি হয়। তাদের সাথে আমাদের কোনো দ্বন্দ নেই, তাদের গায়ে কেন হাত দিবো। আর আমাদের কর্মীরা হাত দিলে তারা ওখানে টিকতো না বলেও জানান তিনি।

এ্যাড. আবু আল রায়হান সংহতি জানিয়ে বলেন, কোট -টাই পড়ে বাবু হওয়ার ভান কইরেননা আপনাদের বাপ-দাদারাও খেটে খাওয়া দিনমজুর সেটা ভুলে যাইয়েন না। যেখানে শ্রমিক আইন অনুযায়ী যদি তিন মাস বেতন নাই, কাজ ছাড়া নিরবিচ্ছিন্ন কোনো প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক তার শ্রম দেয় তবে তাকে স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে গ্রহণ করে তার বেতন ভাতা পরিশোধ করতে হবে। এটা সুট টাই পড়া বিভাগীয় কমিশনার জানে আর সিও সাহেবও জানেন। আপনাদের এই শ্রমিকদের কথা ও তাদের পরিবারে কথা চিন্তা করে দ্রুত তাদের বেতন ভাতা এবং চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে।

অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন সভাপতি এ্যাড. এ কে আজাদ বলেন, আমাদের শ্রমিক মা, -বোনের গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে। তাদের আহত করা হয়েছে। আপনাদের চেয়ারের সম্মান ধরে না রাখতে পারলে আমরাও সম্মান দেখাতে পারবো না। আমাদের দাবি না মেনে নেয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে।

একই কথা জানিয়ে বাসদ বরিশাল জেলা সমন্বয়ক ডা. মনিষা চক্রবর্তী বলেন, আমাদের শ্রমিক ভাই -বোনদের এখন আসন্ন ঈদ উপলক্ষে পরিবারের জন্য কেনাকাটা না করে পরিবারের সদস্যদের মুখে দুমুঠো খাবার যোগাতে এখানে করা রোদের মধ্যে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। আমরা বিসিসি প্রশাসন কে বলতে চাই। আপনারা জানেন সৈরাচারী শাসক কিন্তু পালিয়েছে, আপনি তাদের মত ১৬০ পরিবারের আচরণ করলে এই শ্রমিকরা মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলমান রাখবে। আপনি আসলেন আর ১৬০ টি পরিবার কে পথে বসালেন। সংগঠন প্রতিনিধি, রাজনৈতিক কর্মী বা সামাজিক কর্মীদের সাথে একবার কথা বলা প্রয়োজন বোধ করলেন না। আমারা জানতাম ভদ্রলোকের মুখের কথা এক থাকে কিন্তু এখন দেখলাম তা পরিবর্তনশীল। আমাদের শ্রমিক ভাই -বোনদের আজ দেড় মাসের বেশি বিভিন্ন টালবাহানায় ঘুড়াচ্ছেন। তা না করে দ্রুত তাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

Auto House

Leave A Reply

Your email address will not be published.