Take a fresh look at your lifestyle.

বরিশালে শ্রমিকলীগ নেতা মান্নার হামলা শিকার কাউন্সিলর মর্তুজা-পিস্তল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা

১২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালে মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রইজ আহম্মেদ মান্নার বিরুদ্ধে বরিশাল জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর একেএম মর্তুজা আবেদীনের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ।

০৩সেপ্টেম্বর,রবিবার সকাল ১১টার দিকে বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

এসময় মর্তুজা আবেদীনের লাইসেন্সকৃত পিস্তল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টাও করেন শ্রমিক লীগ নেতা মান্না। তখন তাদের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ধস্তাধস্তি হয়। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে রইজ আহম্মেদ মান্না জানান, উল্টো তার উপর হামলা করে গুলি করার চেষ্টা করেছে মর্তুজা।

এদিকে এই ঘটনায় দুইটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। প্রথমে ৫৬ সেকেন্ডের ভিডিও ফাঁস হলেও এবারে ৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়ানো  ৫৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার মধ্যে মান্না ও মর্তুজার মধ্যে পিস্তল নিয়ে ধস্তাধস্তি হচ্ছে। তখন মান্না বলছিলো, মুরতজা তাকে গুলি করতে চেয়েছে। আর মুরতজা পিস্তলটি তার লাইসেন্সকৃত বলে চিৎকার করে সবাইকে জানাচ্ছিলো। এর মধ্যে এক যুবক এসে পিস্তলটি নিয়ে যায়।

এদিকে পরবর্তীতে ভাইরাল হওয়া ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর একেএম মর্তুজা আবেদীনের ধারণ করা ৮ মিনিটের ভিডিওতে দেখা যায়, ভূমি অফিস থেকে মুরতজা আবেদীন বের হচ্ছেন। তখন ভূমি অফিসের সামনে রইজ আহম্মেদ মান্না ও তার অনুসারীদের অবস্থান করতে দেখেন মরতুজা। তারপর দু’জনের মধ্যে কিছু কথা হয়। এরপর মান্না মর্তুজার উদ্দেশ্যে নানান কথা বলতে থাকেন। মান্নার স্ত্রীকে মারধর করা হয়েছে বলে মুরতজার দিকে অভিযোগ ছোড়া হয়। একপর্যায়ে মান্না মুরতজাকে তুই সম্বোধন করে কথা বলা শুরু করলে কথাকাটাকাটি হয়। এবং মান্না ও তার সহযোগিরা মুরতজা আবেদীনের উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে মান্না একটি ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সার মধ্যে মুরতজা আবেদীনের কাছ থেকে পিস্তল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে বেশ কিছু সময় ধস্তাধস্তি হয়। পরে মান্নার এক সহযোগী পিস্তলটি নিয়ে যায়।

নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, মর্তুজা আবেদীনের উপর হামলা পরিকল্পিত। কেননা মর্তুজা নিজ বাসা থেকে বের হওয়ার পরপরই মান্না ও তার অনুসারীরা মর্তুজার পিছু নিয়েছিলো। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।
ঘটনার সময়ে উপস্থিত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শফিক আহমেদ বলেন, ভূমি অফিস থেকে অস্ত্র হাতে মর্তুজাসহ দুইজনে দৌড়ে এসে একটি হলুদ অটোতে মধ্যে ঢুকে পরেন। এসময়ে কিছু লোকজন অস্ত্রসহ মর্তুজাকে ধরে পুলিশকে খবর দেয়।

কাউন্সিলর একেএম মর্তুজা আবেদীন বলেন, আমার উপর হামলা হতে পারে সেটা আমি আন্দাজ করতে পেরেছিলাম। কেননা বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকেই আমাকে ফলো করছিলো ওরা। ভূমি অফিস থেকে বের হওয়ার পর পরই আমার উপর হামলা চালায় মান্নার লোকজন। এসময় আমার কাছে থাকা লাইসেন্সকৃত পিস্তল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে মান্না।মর্তুজা তার নিজের করা ভিডিওতে সত্য প্রকাশ পাবে দাবি করে এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থার দাবি করেন তিনি।

বরিশাল মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রইজ আহম্মেদ মান্না জানান, আমি পারিবারিক জমি সংক্রান্ত কাজে সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসে যাই। কাজ শেষে বেরিয়ে গেটে আসা মাত্র অফিস থেকে বেরিয়ে মতুর্জা আবেদিন আমাকে গালিগালাজ করে। এর প্রতিবাদ করলে হঠাৎ পিস্তল বের করে গুলি করতে উদ্যত হয়। এই সময়ে আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয় জনগণ এগিয়ে এসে তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।

এদিকে এ ঘটনার আরও একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা কাউন্সিলর মর্তুজাকে নিয়ে যাচ্ছেন। তখন মান্নার লোকজনের সঙ্গে পুলিশের সদস্যদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার ফজলুল করিম বলেন, অস্ত্রটি আমাদের হেফাজতে রয়েছে, তাছাড়া কাউন্সিলর সাহেবও থানায় রয়েছেন। আমরা বিষয়টা দেখছি। আশে পাশের সিসিটিভি ফুটেজও পরীক্ষা করে দেখা হবে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.