বরিশাল নগরীর ত্রিশ গোডাউন সড়কের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩ টার দিকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয় । এসময় ছোট বড় অবৈধ ৮ টি স্টল গুড়িয়ে দেয়া হয়। এখানে রেস্টুরেন্ট ,ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মুদি দোকান ছিল। যারা স্টল গুলো ভাড়া নিয়েছিলেন তারা ক্ষতি গ্রস্থ হওয়ার কথা জানান।
স্থানীয়রা জানান, বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মিলন আওয়ামী লীগের ক্ষমতার জোড় দেখিয়ে কথিত ইজারার নামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওই জায়গা দখলে নেয়। এরপর সে সেখানে একাধিক স্টল নির্মাণ করে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ভাড়া দেয়। তবে সরকার পতনের পর মিলন গা ঢাকা দিলে দোকানগুলো বেহাত হয়ে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ মিলন গত ১৫ বছরে সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এবং সর্বশেষ সাবেক সাংসদ জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারী হয়ে স্থানীয় সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন। যার ধারাবাহিকতায় সাবেক সাংসদ জাহিদ ফারুক পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর মিলন ওই জমি ইজারা নেয় এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়ম না মেনে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেন।
উচ্ছেদ অভিযানের ব্যপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো জাবেদ ইকবাল জানান, ১৯৬০ সালে প্রায় ২১ একর জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। এর ভেতর তিন শতক জমি ২০১৫ সালে লিজ নেয় ইউসুফ আলি মিলন নামে একজন। তিন বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ও তিনি লিজ না ছেড়ে উলটো স্থায়ী স্থাপনা করে স্টল ভাড়া দেন। এগুলো আদালতের নির্দেশে আজ উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ হওয়া জমির দাম প্রায় দেড় কোটি টাকা।