নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল সিটি করপোরেশনের রোড ইন্সপেক্টরকে মারধরের অভিযোগে ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে করপোরেশনের কর্মকর্তা কর্সচারীরা।
সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করায় জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক।
তবে কাউন্সিলর বিপ্লব বলছেন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ এসব করাচ্ছে। এদিকে কাউন্সিলর বিপ্লব তার অনুসারীদের নিয়ে ঢাকা বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছে।
রোববার বিকাল ৩টা থেকে বিভাগীয় গনগ্রন্থাগারের সামনে ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় ঘেরাও করে সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ শুরু করে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এসময় করপোরেশনের ময়লার গাড়ি দিয়ে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। পরে এর প্রতিবাদে ঢাকা বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুখের অনুসারী কাউন্সিলর বিপ্লব সহ ১০ কাউন্সিলর ও তাদের অনুসারীরা।
সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের রোড ইন্সপেক্টর রাজীব হোসেন খান বলেন, একটি ভবনের প্লান চেক করতে যাওয়ার পর কাউন্সিলর বিপ্লব আমাকে ফোন দিয়ে নানা কথা বলে হোসাইনিয়া মাদরাসায় ডেকে নেয়। এরপর আটকে আমাকে মারধর করে কেন আমি তাকে না বলে প্লান চেক করতে গেছি। এরপর অন্যান্য স্টাফরা এসে আমাকে উদ্ধার করে। বিক্ষুদ্ধ স্টাফরা এরপর কাউন্সিলর বিপ্লবের বিচার দাবীরত বিক্ষোভ শুরু করে।
এসব বিষয়ে কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব বলেন, আমার ওয়ার্ডে একটা কাজ করতে আসবে সেটা আমিই জানিনা। আমার সকল স্টাফ নিয়ে গেছে মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ। আমি শুধু ওই স্টাফকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসা করেছি। আমার অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছে। এখন আমিও ষড়যন্ত্রের বিচার দাবীতে ১০ কাউন্সিলর নিয়ে ঢাকা বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছি।
নগরীর নথুল্লাবাদ থেকে রুপাতলীর যাত্রী সিহাবুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক কাজে রুপাতলী যাচ্ছিলাম। বিক্ষোভকারিরা অটো রিকশা ঘুরিয়ে দিলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। জিয়া সড়কের সামনে থেকে রুপাতলী পর্যন্ত এখন হেটে যেতে হবে।
সুনামগঞ্জের যাত্রী ইউসুফ আলী বলেন, আমরা সুনামগঞ্জ যাবো চারজন। অনেক মালামাল রয়েছে। এখন মাথায় নিয়ে হাটা শুরু করেছি। বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন বলেন, দুই পক্ষ দুইটি সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।