নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজের এক অপহৃতা ছাত্রীকে উদ্ধার সহ অপহরণকারি জয় কর্মকার নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
তবে গ্রেপ্তার হওয়া জয়ের পরিবার বলছে, তাদের মধ্যে দীর্ঘ প্রেম ছিলো এবং সেই সূত্র ধরে তারা বিবাহ করে ঢাকায় বসবাস করতো। রোববার গভীর রাতে ঢাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া যুবক জয় কর্মকার বরিশাল নগরীর ভাটিখানা এলাকার মন্টু লাল কর্মকারের ছেলে। উদ্ধার হওয়া ছাত্রী বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী ও নগরীর বাজার রোডের সেনপাড়ার বাসিন্দা বাসুদেব চন্দ্রের মেয়ে অর্পিতা চন্দ্র মুন।
অর্পিতার মা গীতা রানী চন্দ্র বাদী হয়ে রোববার বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় জয় কর্মকার ও তার বাবা মন্টু লাল কর্মকারকে আসামী করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ৮ ফেব্রুয়ারি জয় কর্মকার ব্রজমোহন কলেজের মসজিদ গেটের সামনে থেকে অর্পিতা চন্দ্র মুনকে অপহরণ করে।
এর আগে ১৬ জানুয়ারী নোটারী পাবলিক আদালতের মাধ্যমে বাকেরগঞ্জের কবাই ইউনিয়নের বাসিন্দা সৌরভ হাওলাদারের সাথে বিয়ে হয় অর্পিতার। এই ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের আনুষ্ঠানিক বিয়ের কথা ছিলো। আসামী জয় কর্মকারের সাথে অর্পিতার সাত আট মাস আগে পরিচয় হয়। এরপর থেকে সে উত্যক্ত করতো অর্পিতাকে। ৮ ফেব্রুয়ারি কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে অর্পিতাকে অপহরণ করে জয়।
এদিকে জয় কর্মকারের কাকা অনিল কর্মকার বলেন, অর্পিতা ও জয়ের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তারা বিয়ে করে ঢাকায় সংসার করছিলো। এখানে কোনো অপহরণের বিষয় নেই। তারা দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক। আমাদের পরিবারকে হয়রানি করতে অর্পিতার পরিবার এই মামলা করেছে।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক পার্থ সারথী বলেন, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা থেকে অপহৃতা কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার ও আসামীকে গ্রেপ্তার করে সোমবার থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
কোতয়ালী থানা পুলিশের ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা মেয়েটিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সে জানিয়েছে তাকে অপহরণ করা হয়েছে। তার সাথে দুইজনের বিয়ে ছিলো কিনা সেটা নিশ্চিত নই আমরা।