স্টাফ রিপোর্টার: জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সোনারগাঁও টেক্সটাইল শ্রমিক নেতা মোশারেফ হোসেনের উপর হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে সোনারগাঁও টেক্সটাইলের সামনে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা। সোনারগাঁও টেক্সটাইল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে সমাবেশ শেষে মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিলের মধ্যদিয়ে কর্মসূচির শেষ হয়। এ ঘটনায় জড়িত জামাল গাজীসহ অন্যান্যদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান শ্রমিকরা। দাবি আদায় না হলে বরিশালের সকল কারখানা বন্ধ করে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারী দেন শ্রমিকরা।
সোনারগাঁও টেক্সটাইল শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সহ-সভাপতি জসিম হাওলাদারের সভাপতিত্বে বক্তৃতা দেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খুকু মনি, সহ-সভাপতি ইমরান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দুলাল মল্লিক, বাসদ-এর বরিশাল জেলার সদস্য শহিদুল শেখ, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের জেলার দপ্তর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, বরিশাল রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের বরিশাল জেলার দপ্তর সম্পাদক আব্দুল রাজ্জাক, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মহানগর সাধারণ সম্পাদক সুজন আহমেদ, ইজিবাইক চালাক সংগ্রাম পরিষদ দপদপিয়া ইউনিয়নের সভাপতি রমজান আকন, বরিশাল রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন ২৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মো. আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক রিপন হাওলাদার প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, গত ১৪ মার্চ বেলা ১১টার দিকে জামাল গাজীর নেতৃত্বে একদল ব্যক্তি মোশারফ হোসেনের নগরীর বাড়িতে ভাংচুর করে। এসময় মোশারফের বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের আহত করে বাসা থেকে নগদ টাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়। হামলা, মারধর ও লুটের ঘটনায় শ্রমিকনেতা মোশারফের ভাবি সুখী ঘটনার দিন বিকেলে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দেয়। এই অভিযোগ দেয়ার খবর পেয়ে জামাল গাজীর নেতৃত্বে রাত আনুমানিক ৮টার দিকে একদল সন্ত্রাসী সোনারগাঁও টেক্সটাইল কারখানায় কর্মরত অবস্থায় মোশারফকে ডেকে নিয়ে দপদপিয়া ব্রিজের সংলগ্ন এলাকায় হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করে জখম করে। পরে কারখানার শ্রমিকরা তাকে কারখানায় না দেখে খুঁজতে বের হলে তাকে আহত অবস্থান টোলের কাছ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বক্তারা আরও বলেন, বাড়িতে হামলা করে আবার কারখানায় গেট থেকে তুলে নিয়ে শ্রমিকনেতার উপর এই সন্ত্রাসী হামলা শ্রমিকরা কোন ভাবেই সহ্য করবে না। জামাল গাজী রূপাতলীর এক প্রভাবশালী নেতার ক্ষমতা দেখিয়ে এ হামলা করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু শ্রমিকের একতার সামনে কোন শক্তিই টিকবেনা। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা না হয় তাহলে বরিশালের সকল কারখানা এক হয়ে বৃহৎ আন্দোলন ঘোষণা করা হবে বলে বক্তারা হুশিয়ারী দেন।