নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সারাদেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদ এবং নারী-শিশুসহ সব মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে পৃথক পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ও ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে’র শিক্ষার্থীরা।
শনিবার রাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিন, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা প্রতিবাদ সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।
ববির বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রানির সঞ্চালনায় বক্তৃতা দেন, শিক্ষার্থী সুজয় শুভ, ভূমিকা সরকার, নিশাত মালিহা ঐশি, মামজুদা মোস্তফা লামিয়া, জাহিদুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, ইসরাতুন্নেহা প্রমুখ।
ববির শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বলেন, ধর্ষণের বিরুদ্ধে আজ শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়েছে। বিচারের জন্য আজকে কেন আমাদের দাঁড়াতে হবে? কেনই বা দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দিনদিন বেড়ে চলছে। আইনশৃঙ্খলা অবনতির কারণে আজকে সারাদেশে নারীদের শ্লীলতাহানি, নারী নির্যাতনসহ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এ ব্যর্থতার দায় সরকারকেই নিতে হবে।
এদিকে রোববার দুপুরে বিএম কলেজের জিরোপয়েন্টে ক্যাম্পাস ছাত্র ইউনিয়নের উদ্যোগে পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
বিএম কলেজ অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তৃতা দেন, কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুজয় সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক অনুপ রায় অর্ণব, মারিয়া মারজান, প্রীতিলতা বিগ্রেড-এর আহ্বায়ক শর্মী ইসলাম, তন্নী দাস, সাদমান ইশরাক জিওন, লামিয়া ইসলাম, শুভদ্বীপ প্রমুখ।
বিএম কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুজয় সরকার বলেন, ধর্ষণের বিরুদ্ধে আজ শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়েছে। বিচারের জন্য আজকে কেন আমাদের দাঁড়াতে হবে? কেন দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দিনদিন বেড়ে চলছে। আইনশৃঙ্খলা অবনতির কারণে আজকে সারাদেশে নারীদের শ্লীলতাহানি, নারী নির্যাতনসহ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এ ব্যর্থতার দায় সরকারকেই নিতে হবে। মহামারির মতো ধর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নারীকে পণ্য বানানোর যে সংস্কৃতি বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
বিক্ষোভে দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নারী নিপীড়ন প্রতিরোধ সেল গঠন করে দ্রুত কার্যক্রম শুরুর দাবি জানান।