Take a fresh look at your lifestyle.

তাসকিনের দুর্দান্ত বোলিং বাংলাদেশকে গড়ে দিল সিরিজ জয়

৩২

অনলাইন ডেস্কটস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিংয়ের শুরুটা করল আগ্রাসী

শুরুতে একটু এলোমেলো বাংলাদেশের বোলিং গুছিয়ে উঠে ঘুরে দাঁড়াল দারুণভাবে। পাল্টা আক্রমণের নেতৃত্বে তাসকিন আহমেদ। তার একের পর এক গোলায় পুড়ে খাক হলো দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটিং।

অভিষেক ওয়ানডেতেই মিরপুরে ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন তাসকিন। প্রায় ৮ বছর পর আবার পেলেন তিনি সেই ভুলে যাওয়া স্বাদ। তার দুর্দান্ত বোলিং বাংলাদেশকে গড়ে দিল সিরিজ জয়ের ক্ষেত্র। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট ১৫৪ রানে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বনিম্ন স্কোর। আগের সবচেয়ে কম ছিল ২০১৫ সালে মিরপুরে ১৬২

৩৫ রানে তাসকিনের শিকার উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকায় এই প্রথম উইকেট পেল বাংলাদেশের কোনো বোলার

আলাদা করে বলতে হবে তামিম ইকবালের অধিনায়কত্বের কথাও। তার বোলিং পরিবর্তন এ দিন ছিল দুর্দান্ত। সাফল্য মিলেছে তার বেশির ভাগ পদক্ষেপেই।

অথচ ম্যাচ শুরুর চিত্র বাংলাদেশের জন্য ছিল ভিন্ন। টস হেরে মন একটু ভার ছিল তামিম ইকবালের। এই মাঠেই প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে তিনশ ছাড়ায় দল, এবারও তার চাওয়া ছিল আগে ব্যাটিং। কিন্তু এবার টস ভাগ্যকে পাশে পাননি। এরপর বোলিংয়ের শুরুটাও ভালো করতে পারেননি মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম। তা কাজে লাগিয়ে দ্রুত রান তোলেন ইয়ানেমান মালান। পঞ্চম ওভারেই তাই মেহেদী হাসান মিরাজের স্পিন আক্রমণে আনেন তামিম।

৬ ওভারে ৪০ রান তুলে ফেলা দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ধাক্কা খায় সপ্তম ওভারে। মিরাজের স্পিনেই আসে প্রথম সাফল্য। তাকে একটি বাউন্ডারি মারার পরের বলেই ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় লং অফে ধরা পড়েন কুইন্টন ডি কক (১২)।

কে জানত, ৪৬ রানের উদ্বোধনী সেই জুটিই হয়ে থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা জুটি! পরের ৪০ রান যোগ না হতেই তারা উইকেট হারায় আরও ৪টি।

দ্বিতীয় উইকেটে মালান ও কাইল ভেরেইনা জুটি গড়ে তোলার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। এই জুটি থামিয়েই দৃশ্যপটে আবির্ভাব তাসকিনের। দায় যদিও ব্যাটসম্যানেরই বেশি। বাইরের বল কাট করার চেষ্টায় স্টাম্পে টেনে আনেন ভেরেইনা।

এরপর উইকেট ধরা দিতে থাকে একের পর এক। থিতু হয়ে যাওয়া মালানকে (৫৬ বলে ৩৯) বাড়তি বাউন্সে ফেরান তাসকিন। পরের ওভারে সাকিব আল হাসানকে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ টেম্বা বাভুমা। শরিফুল ইসলাম দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে প্রথম ডেলিভারিতেই বাড়তি বাউন্সে বিদায় করে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার বড় ভরসা রাসি ফন ডার ডাসেনকে।

বিনা উইকেটে ৪৬ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার রান তখন ৫ উইকেটে ৮৩।

ডেভিড মিলার আর ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস চেষ্টা করেন ধ্বংসস্তুপ থেকে দলকে উদ্ধারের। কিন্তু আবারও তামিমের দারুণ বোলিং পরিবর্তন। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই তাসকিনের আরেকটি উইকেট। তার শিকার এবার প্রিটোরিয়াস।

শেষ বাধা হয়ে থাকা মিলারকেও (৩১ বলে ১৬) একটু পর থামান তাসকিন। ওই ওভারেই রাবাদাকে ফিরিয়ে পূর্ণ করেন ৫ উইকেট।

দেশের বাইরে বাংলাদেশের মাত্র চতুর্থ পেসার হিসেবে তিনি পেলেন উইকেট

শেষ দিকে কেশভ মহারাজের (২৮) লড়াইয়ে দেড়শ পার হতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। রান আউটে তার বিদায়েই শেষ হয় প্রোটিয়া ইনিংস।

নিজের এক ওভার বাকি থাকলেও আরেকটি উইকেট নেওয়ার সুযোগ আর পাননি তাসকিন। তবে আগেই যা করেছেন, তাতেই বাংলাদেশের সামনে এখন সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়ার হাতছানি।

 স্কোর:

দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩৭ ওভারে ১৫৪ (মালান ৩৯, ডি কক ১২, ভেরেইনা ৯, বাভুমা ২, ফন ডার ডাসেন ৪, মিলার ১৬, প্রিটোরিয়াস ২০, মহারাজ ২৮, রাবাদা ৪, এনগিডি ০, শামসি ৩*; শরিফুল ৭-০-৩৭-১, মুস্তাফিজ ৭-০-২৩-০, মিরাজ ৮-০-২৭-১, তাসকিন ৯-০-৩৫-৫, সাকিব ৯-০-২৪-২)।

Leave A Reply

Your email address will not be published.