বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদলের গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চার ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ।
৩জুলাই, রবিবার দিনগত রাত ১টার দিকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলেন- বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বলাইকাঠি এলাকার সেলিম হাওলাদার ওরফে কাটারো সেলিম (৩৮), মো. রফিকুল ইসলাম রানা (৩৫), পশ্চিম চরমাদ্দি এলাকার মো. মিজান ওরফে নিজাম হাওলাদার (৪২) ও বরগুনা জেলা সদরের বড়ইতলা এলাকার মো. বারেক সিকদার (৩৭)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটার গান, পাঁচ রাউন্ড কার্তুজ, একটি ছোরা, একটি বগি দা, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি স্ক্রু ড্রাইভার, একটি সেলাই রেঞ্জ, একটি টর্স লাইট ও পাঁচ টুকরা রশি উদ্ধার করা হয়।
সম্পর্কিত পোস্ট
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীর খাঞ্জাপুর ও ইল্লা এলাকার মাঝে ডাকাতির প্রস্ততি নিচ্ছে একদল ডাকাত- এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল গুলি ছুড়ে পালানের চেষ্টা চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালিয়ে অস্ত্রসহ চার ডাকাতকে আটক করে।
গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চার ডাকাতকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। তবে ডাকাতদলের সদস্যদের আটকের আগে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে যায় তারা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে লক্ষ্য করে ডাকাতদলের সদস্যরা গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা ১০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ সময় কয়েকজন ডাকাত সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আটকের সময় পুলিশ সদস্যদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, আটককৃতরা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তাদের নামে বরিশাল, বরগুনা ও পিরোজপুরের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। যার মধ্যে সেলিম হাওলাদার ওরফে কাটারো সেলিমের নামে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানা, কাউনিয়া থানা, এয়ারপোর্ট থানা এবং জেলার উজিরপুর ও বাকেরগঞ্জ থানায় নয়টি মামলা রয়েছে।
এদিকে আটককৃত ডাকাতদের নিয়ে আজ ৪ জুলাই, সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
