Take a fresh look at your lifestyle.

আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছেন সোহেল তাজ

অনলাইন ডেস্ক:

২৭

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায় বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছেন।

ওই প্রতিবেদনের পর থেকে তার সক্রিয় হয়ে ওঠার খবরও মেলে বিভিন্ন সূত্রে। খবরের পালে হাওয়া লাগে বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রাতে। শতাধিক সমর্থক নিয়ে তাজ পুত্র গিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে। দেখা করেন নেতাকর্মীদের সঙ্গে। তারপর থেকেই জোরালো হয়ে উঠেছে একটি বিষয়- কবে ফিরছেন তিনি?

২০০৯ সালে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন সোহেল তাজ। প্রায় ১৩ বছর পর তার ফিরে আসার খবর নিতান্তই আনন্দ বয়ে নিয়ে আসবে আওয়ামী লীগে, তা অনুমেয়। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ঘুরে এসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। লেখেন- ‘সভানেত্রীর কার্যালয়ে পুরনো সকল স্টাফদেরসহ সবার সাথে দেখা হয়ে খুবই ভালো লেগেছে। কাদের ভাইয়ের সাথে পথে দেখা হয়েছে আর বাহাউদ্দিন নাসিম ভাইয়ের সাথে কার্যালয়ে কিছুক্ষণ প্রাণবন্ত আলাপ হয়েছে। ’

সঙ্গে জুড়ে দেন কিছু ছবি যা দেখে বোঝা যাচ্ছে, সিনিয়র নেতারাও তাকে স্বাগত জানাতে মুখিয়ে আছেন।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ছাড়াও সোহেল তাজের দেখা হয়েছে দলের , সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফারাজি, রেমন্ড আরেংসহ দলের বেশ কিছু নেতাকর্মীর। ৪০ মিনিট সভানেত্রীর কার্যালয়ে অবস্থান করেন সোহেল তাজ। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ হয় তার।

এ ব্যাপারে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সভাপতির কার্যালয়ে আসেন ৷ গতকাল (বৃহস্পতিবার) অনেকে এসেছিল। তাদের সঙ্গে কথা বলছিলাম; এমন সময় জানতে পারলাম সোহেল তাজ এসেছেন। তারপর তার সঙ্গে দেখা হলো, শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় হয়েছে। কিছু সময় কথাবার্তা হল বিভিন্ন বিষয়ে।

সোহেল তাজ আবারও রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন এরকম আলোচনা রয়েছে; এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাছিম বলেন, সেটা আমি জানি না। বলতেও পারবো না। তবে তিনি এসেছিলেন; ভালো লাগলো।

গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বনানী কবরস্থানে গিয়েছিলেন সোহেল তাজ। ওই কালো রাতে নৃশংসতার শিকার বাংলাদেশের স্থপতির পরিবারের শহীদদের সমাধিতে শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। সে সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে তিনি বলেন, বরাবরই বলে আসছি, আমি আওয়ামী লীগের সন্তান। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের রক্তের সম্পর্ক। আমি আওয়ামী লীগে ছিলাম, আছি, থাকবো। আমাকে যদি প্রয়োজন হয়, আমার যদি ডাক পড়ে, আমি সাড়া দেব। আমি আবার রাজপথে থাকব। ২০০১ সালে বিএনপি জামাত জোট সরকারের সময় যেমন ছিলাম, ঠিক সেভাবেই থাকব। আমি সে অবস্থানেই আছি।

২০০৮ সালের ডিসেম্বরে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে গঠিত মন্ত্রিসভায় সোহেল তাজকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়। এর পাঁচ মাস পর তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। পরে ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল জাতীয় সংসদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। এতে তার আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। ২০১৬ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবনে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন সোহেল তাজ। সংবাদমাধ্যমে তাদের একটি ছবি প্রকাশ হয়। এ নিয়ে আলোচনাও হয় ব্যাপক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ছবি ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই ‘বঙ্গবন্ধু ও তার ঘনিষ্ঠ সহচর তাজউদ্দীনের ছায়া’ বলে মন্তব্য করেন। এখন অপেক্ষা কবে আসবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ- সোহেল তাজের প্রত্যাবর্তন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.