Take a fresh look at your lifestyle.

অপহরণকৃত কিশোরী উদ্ধারের পর বরিশাল ওসিসি থেকে উধাও

রবিউল ইসলাম রবি: র‍্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে অপহরণকৃত কিশোরী নুপুর ঋষি দাস (১৪) কে মাদারীপুর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রাম থেকে উদ্ধারের পর গৌরনদী থানা পুলিশ বরিশাল ওসিসিতে প্রেরণ করেন। এক রাতের ব্যবধানে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ‘ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি)’ থেকে ভিকটিম কিশোরী রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে গেছে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ওসিসি’র দায়িত্বরত পুলিশ ইনচার্জ আব্দুল জলিল বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারী সকালে অফিসে এসে ভিকটিমের কাগজপত্র চাইলে জানতে পারি সে ওসিসিতে নেই। এ ঘটনার পরই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পাশাপাশি বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডাইরী দায়ের করি। একইসাথে গৌরনদী থানায়ও জানাই। বর্তমানে ভিকটিম উদ্ধার অভিযানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌরনদী থানার সেকেন্ড অফিসার, সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, অপহরণকৃত কিশোরীকে মাদারীপুর থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারী উদ্ধারের পরই ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়। পরে শুনতে পারলাম ওসিসিতে ভিকটিম নেই।

দায়েরকৃত মামলার বাদী ও কিশোরী ভিকটিমের মা ঝর্ণা রাণী দাস বলেন, মেয়েকে দেখতে ২৭ ফেব্রুয়ারী রাত সাড়ে ৮টায় ওসিসিতে আসেন। মেয়ের সাথে থাকতে চাইলে ওসিসির কর্মরত নার্সরা তাকে বলেছেন, ভিকটিমের সাথে কেউ থাকতে পারবে না। আগামীকাল অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০ টায় আসতে বলেন। তাদের কথামত পরদিন সকালে মেয়ের জন্য খাবার নিয়ে গেলে জানতে পারি নুপুর ওসিসিতে নেই। মা হয়ে মেয়েকে নিরাপত্তায় রাখতে পারলাম না। আর দায়িত্বরত সরকারী প্রতিষ্ঠানেও নিরাপত্তা পেলাম না।

ভিকটিমের বাবা গোবিন্দ ঋষি দাস বলেন, স্ত্রীর সাথে তিনিসহ তার ভাই তপন ঋষি দাস উপস্থিত ছিলেন। নুপুর আগে কখনও বরিশাল শহরে আসেনি। এমনকি পথ-ঘাটও চেনে না। আসামী পক্ষ কেউ ভাগিয়ে নিয়েছে কিনা ? তাও জানি না। নুপুর ৮ম শ্রেণীতে পড়ে। শিশু টিকা কার্ড ও জন্ম সনদানুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৯-০২-২০১০।

ভিকটিমের চাচা তপন ঋষি দাস বলেন, ওসিসিতে সিসি ক্যামেরা আছে। তা পর্যবেক্ষণ করলে বেড়িয়ে আসবে, নুপুর নিজ ইচ্ছায় বা কারো সহযোগিতায় বা আসামীদের প্ররোচনায় পালিয়েছে কিনা?

ভিকটিমের নাম ঠিকানা ও ছবি দিয়ে প্রতিবেদককে সংবাদ প্রকাশ করার অনুরোধ করেন তার মা-বাবা। কারণ, তাদের মেয়েকে কেউ দেখলে ( ০১৭২৪-১৭১৯৮৯) নম্বরে কল করে জানানোর অনুরোধ করেছেন ।

মাদারীপুর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অমিত হোসেন কবির বলেন, আবারো কিশোরী নুপুর তার ইউনিয়নে বা ওই ছেলের বাড়িতে গেলে পূর্বের ন্যায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীদের সহযোগিতা করবেন তিনি।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারী গৌরনদী উত্তর কান্ডাপাশা নিজ গ্রাম থেকে নুপুর বান্ধবীর জন্মদিনে তার বাড়িতে যাবার পথে মাহিলারা ফকির বাড়ির সামনে থেকে মাদারীপুর কুনিয়া গ্রামের অমিত ঋষি দাস (২২), গৌরি ঋষি দাস (৪৫), বিশ্বজিৎ ঋষি দাস (৪৫) ও মাখম ঋষি (৩৫)সহ অজ্ঞাত ২/৩ জন মিলে তাকে (নুপুর) মাইক্রোবাসযোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। খোঁজাখুজির পর উপায়ন্ত না পেয়ে নুপুরের মা ঝর্ণা রাণী দাস গত ২৬ ফেব্রুয়ারী গৌরনদী থানায় উপরোক্ত অপহরণকারীদের আসামী করে মামলা (নং-২৬/৪৯) দায়ের করেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.