Take a fresh look at your lifestyle.

চরবাড়িয়াতে বৃদ্ধ’র বয়স্ক ভাতার টাকা মহিলা ইউপি মেম্বারের আত্মসাত

স্টাফ রিপোর্টার: বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের সত্তোরোর্ধ আবদুল মান্নান নামের এক ব্যক্তির বয়স্ক ভাতা কার্ডে মহিলা ইউপি মেম্বারের মোবাইল নাম্বার দেওয়ায় ১১ মাসের টাকা পাননি ভুক্তভোগী। এ নিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দারস্ত হন আবদুল মান্নান ও তার স্ত্রী কহিনুর বেগম। পরে সেই টাকা ফেরত দেয়ার অঙ্গিকার করলেও দুই হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকার জন্য আজ নয় কাল বলে ঘুরাচ্ছেন ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি মেম্বার রেহেনা বেগম।

আবদুল মান্নান সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব চর আবদানীর বাসিন্দা।

আবদুল মান্নান জানান, আমি জানতে পারি আমার নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড হয়েছে। ১১ মাসে আমি কোন টাকা পাইনি। পরে আমি মহিলা ইউপি মেম্বার রেহেনা বেগমের কাছে গেলে তিনি জানান আমার বয়স্ক ভাতার কার্ড হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, আমার বয়স্ক ভাতার টাকা মহিলা ইউপি মেম্বার রেহেনা বেগমের নাম্বারে আসছে। এ নিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দারস্ত হলে তাকে ডেকে আমার টাকা ফেরত দিতে বলেন। তিনি মাত্র দুই হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকার জন্য আমাকে ঘুরাচ্ছেন। আমি আমার টাকা ফেরত চাই।

তিনি আরও বলেন, বয়স্ক ভাতার আবেদন ফরম মেম্বার কাছে জমা দিয়েছিলাম। নাম-ঠিকানার জায়গায় আমার নামসহ সব ঠিকঠাক থাকলেও মোবাইল নাম্বারের জায়গায় মেম্বার তার নিজের নাম্বার বসিয়ে দিয়েছেন। এভাবেই তিনি আমার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

বিষয়টি স্বীকার করে মহিলা ইউপি মেম্বার রেহেনা বেগম বলেন- সমাজসেবা অফিস থেকে আবদুল মান্নানের বয়স্ক ভাতার কার্ডে আমার নম্বর দিয়ে দিয়েছি। আমি জানতাম না, আর আমার নম্বরে টাকাও আসেনি। তবুও এখন মান ইজ্জত বাঁচাতে টাকা ফেরত দিতে রাজি হয়েছি। দুই হাজার টাকাও ফেরত দিয়েছি।

আপনার নম্বরে টাকা আসেনি সেই টাকা কোথায় গেল এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এ বিষয়ে জানতে চরবাড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহতাব হোসেন সুরুজকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার বলেন, কারো ভাতার কার্ডে মেম্বারের মোবাইল নম্বর দেয়ার সুযোগ নেই। এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.