নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) বাংলা বিভাগের উদ্যোগে শীতের কুয়াশাকে ব্যতিক্রমভাবে উদযাপনের লক্ষে কুয়াশা উৎসব ‘কুহেলিকা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩১ জানুয়ারি,শুক্রবার ববির মুক্তমঞ্চে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত ‘কুহেলিকা শীত উদযাপন ও পিঠা উৎসব’ এর আয়োজন করা হয়।
এ দিন ববির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা ময়মনসিংহ গীতিকার মহুয়ার পালা মঞ্চস্থ করেছেন। এরপর নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তির মধ্যদিয়ে উৎসবের শেষ হয়। ঐতিহ্য ফুটিয়ে তুলতে বিভিন্ন গ্রামিণ আয়োজনের পাশাপাশি বিক্রি হয়েছে হরেক পিঠাপুলি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ববির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ববির বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান উন্মেষ রায়, সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকার, সহকারী অধ্যাপক চম্পা রানী মজুমদার ও প্রভাষক তাইয়্যেবুন নাহার মিমি প্রমুখ।
বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, বাঙালি জনজীবনে ঋতুবৈচিত্র বাংলাদেশকে প্রকৃতি ঘনিষ্ঠ করে তুলেছে। প্রকৃতি প্রদত্ত এই সংস্কৃতি মানুষ সৃষ্টি করে না ফলে এ এক অমূল্য সম্পদ। এমন সংস্কৃতি নির্মাণ করা সম্ভব নয় ফলে এর উদযাপন এবং বৈচিত্রময় জীবনকে ধারণ করলে আমরা সত্যিকারের একটি সমন্বিত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারবো। কী ঋতুতে কী মানুষে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য আমাদের হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতির শিক্ষা। সেই বৈষম্যহীন কিন্তু বৈচিত্রময় সমাজকে আমরা যথার্থ সম্মান করতে পারলে তবেই এই কুহেলিকা উৎসব সার্থকতা পাবে।
বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান উন্মেষ রায় বলেন, শীত কেবল রিক্ততা কিংবা জীর্ণতার ঋতু নয়। শীতের একদিকে থাকে বসন্ত আগমনের সুর, অন্যদিকে থাকে শস্যময় সোনালি সময়। তাই শীত বাংলা প্রকৃতির এক যুগসন্ধিক্ষণের কাল। মন এবং শরীরে শ্রান্তি ঝেড়ে ফেলার এই ঋতুতে হৃদয় কুয়াশার আবরণ ভেদ করেও নেচে উঠে গানে, উৎসবে, পার্বণে, অনুষ্ঠানে। তাই আমাদের এই আয়োজন