স্টাফ রিপোর্টারঃ বরিশাল নগরীতে ১২ টি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান আউটসোর্সিং কর্মচারীদের বকেয়া বেতন আদায় ও চাকরির স্থায়ী করনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) বেলা এগারো টায় অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, আমরা ৬৪ (চৌষট্টি) জন আউটসোর্সিং কর্মচারী কর্মক্ষেত্রে যোগদানের পর থেকে বরিশাল জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে সুনাম ও নিষ্ঠার সাথে ৪র্থ শ্রেনীর বিভিন্ন পদে কাজ করে যাচ্ছি । দ্রব্যমূল্যের ঊর্দ্ধগতির বাজারে আমাদের সামান্য বেতন দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে দিনযাপন করাই যেখানে অনেক কষ্টকর সেখানে আমাদের গত চোব্বিশ মাসের বেতন এখন পর্যন্ত বকেয়া। আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে আমরা প্রায় পথে বসেছি। আমরা অনাহারে অর্ধাহারে দিন যাপন করছি। আমরা নিরুপায় হয়ে স্বাস্থ্য সচিব মহোদয়, সিভিল সার্জন বরিশাল মহোদয়, আমাদের ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান বরাবর লিখিত আবেদন করেও কোন ফল পাইনি। আমরা এ দুর্বিসহ জীবন থেকে মুক্তি চাই।
বাসদের বরিশাল জেলা সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তী এ মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, নিজের জীবন বিপন্ন করে যারা কোভিড-১৯ এর সময় মানুষের সেবা দিয়েছে, আজ তাদের জীবন বিপন্ন হয়েছে। কেন হয়েছে? আজ ২৪ মাস তাদের বেতন দেয়া হয়নি। এই দুই বছর যদি কেউ বেতন না পায় তবে সেই সংসার কি ভাবে চলে? তবে এরা চালিয়েছে, ধৈর্য ধরেছে। ৫ই আগষ্টের পর তাদের বিশ্বাস ছিলো যে, নতুন সরকার তাদের প্রতি সুবিচার করবে। কিন্তু না সৈরাচারী সরকার বিদায় দিয়ে নতুন সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের যে প্রত্যাশা তা পূরণ হচ্ছে না। যাদের সেবা প্রতিদিন প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজন হচ্ছে তাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে চুক্তিভিত্তিক ভাবে। আমরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কে শ্রম আইন এর মাধ্যমে বলতে পারি শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী করবার জন্য। কিন্তু যে সরকার শ্রম আইন তৈরি করে কোনো ঠিকাদারির মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগ দেয় ও বেতন প্রদান করে তাদের আমরা কি বলবো। আমরা দেখেছি শ্রমিকরা কোনো কথা বললেই বলা হয় ঠিকাদারের কাছে যান। আমরা বলতে চাই যেখানে বেতন দেয় সরকার সেখানে ঠিকাদারির কি দরকার। আমরা এ শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী করবার ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধন শেষে র্যালি করে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন ১২ টি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান আউটসোর্সিং কর্মচারীবৃন্দ।