Take a fresh look at your lifestyle.

প্রয়াণ দিবসে গুরুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা-প্রিন্স তালুকদার

১৪

গুরু ব্রহ্মা, গুরু বিষ্ণু, গুরুদেব মহেশ্বও, গুরুরেব পরম ব্রহ্ম, তস্মৈ শ্রী গুরুবে নম। আমাদের জীবনে গুরুর স্থান সকলের উপরে। গুরুই আমাদের পরম জ্ঞান দান করেন। গুরুকে শ্রদ্ধা ভক্তি ও সম্মান জানানোর জন্য এই বর্ষায় গুরু পূর্ণিমার বিশেষ দিনটি পালন করা হয়।

  • কিন্তু আমি গুরুকে স্নরন করি, শ্রদ্ধা জানাই আমার পেশাগত প্রতিকাজে। আজও শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করি আমার সাংবাদিকতার অন্যতম গুরু লিটন বাশারকে। শোধিত সাংবাদিকতার প্রতিশ্রুতি অক্ষুন্ন রেখে সুদীর্ঘ ৪১ বছর ধরে বরিশাল থেকে বহুল প্রচারিত, সরকারী মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত শীর্ষস্থানীয় দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল পত্রিকার বার্তা প্রধানের দায়িত্ব পালন করতে প্রতি ক্ষনে স্নরন গুরুর স্নেহসিক্ত শাসন, ভালবাসা আর অনুপ্রেরনা।

এক ক্ষনজম্না জীবন ছিল তার। তিনি অসংখ্য পেশাদার সাংবাদিক তৈরি করেছিলেন। সাংবাদিক লিটন বাশারের লেখা আজো এখনো কত সমকালীন ও প্রাসঙ্গিক তার দর্শন। ভদ্রলোকের ড্রয়িংরুম কিংবা ফুটপাতের চায়ের দোকান, গাছের নিচের বাঁশের মাচা কিংবা নদীর নৌকার গলুই, বয়স্ক কিংবা তরুণ, গ্রাম কিংবা আধুনিক শহর সর্বত্রই ছিল তার সরব উপস্থিতি। তিনি দখিনের সাংবাদিকতায় গ্রাম-শহর, উঁচু-নিচু, কুলীন-কায়স্থ এই দুইকুলের সমন্বয় গড়ে তুলেছিলেন তার লেখায়।

  • ২০১৭ সালের ২৭ শে জুন বড়ই পাতা গরম জলে শুদ্ধি হয়ে আতর, গোলাপ চুয়া-চন্দন মেখে ময়ূরপঙ্খী নাওয়ের ছইয়ের ওপর সাদা মার্কিন কাপড় গায়ে পরে দখিনের কীর্তনখোলা নদীর সফেদ ঢেউ, নানান রঙের নাও আর শীতল বাতাস ভেদ করে গায়ের দিকে শেষবারের মতো তার নাও ভাসিয়েছিলেন দখিনের সাংবাদিকতার প্রানপুরুষ লিটন বাশার। অঝোরে কাদছিল শিষ্যরা, কাদিয়েছিল গুরুর শুভানুধ্যায়ী সবাইকে। গুরুর মৃত্যুতে চোখের জল থামছিল না শিষ্যদের। চলে গিয়েছেন প্রিয় গুরু। কিন্তু, জীবন তো আর থেমে থাকে না! চোখের জল আর ভারাক্রান্ত মন নিয়েই শোকবিহ্বল শিষ্যদের ছিল গুরুর সাথে শেষযাত্রা।

সেদিন দখিনের জনপদ ছিল শোকে নিস্তব্ধ। সেদিন বরিশালের প্রানের নদী কীর্তনখোলার ছিলনা আফালের (ঢেউয়ের গর্জন) কোন গর্জন।

সময় ঘুরে আবার ক্যালেন্ডারের পাতায় ২৭ শে জুন। প্রয়াণ দিবসে তোমার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা হে গুরু।

Auto House

Leave A Reply

Your email address will not be published.