Take a fresh look at your lifestyle.

বরিশালে ফ্রিলান্সিং প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র প্রদান

১০

দেশের ৪৮ জেলায় শিক্ষিত কর্মপ্রত্যাশী যুবদের ফ্রিলান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির শীর্ষক প্রকল্পের ২য় ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ পত্র বিতরণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)  লুসিকান্ত হাজং, বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড-এর সহকারী বিভাগীয় প্রধান শেখ রিজওয়ান ফিদা এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সহকারী উপ-পরিচালক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, বরিশাল জেলা শাকাওয়াত হোসেন।

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আওতায় ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড বরিশালে ১৮ জন বেকার ও কর্মপ্রত্যাশী যুবকদের মাঝে ফ্রিলান্সিং প্রশিক্ষণ দিয়েছে ও বর্তমানে ৫৯ জন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে। যার ভিতরে উল্লেখযোগ্য ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, কম্পিউটার অপারেশন, ভিডিও এডিটিং, কমিউনিকেটিভ ইংলিশ ও কম্পিউটার হার্ডওয়ার অ্যান্ড নেটওয়ারকিংয়ের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশ ও আন্তর্জাতিক বাজারে যুবকদের দক্ষ করে গড়ে তুলছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রতিষ্ঠানের ২য় ব্যাচের সফল প্রশিক্ষণার্থী জুবায়ের রহমান সানু তার অনুভূতি প্রকাশে বলেন, বরিশাল ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রষ্ঠিানের অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের দিক নির্দেশনায় ৩ মাস প্রশিক্ষণ শেষে এখন বর্তমানে ফ্রিলান্সার ডট কম এ কাজ করছি ও গত তিন মাসে ৩৫,০০০ টাকার ও অধিক উপার্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণার্থী নাবিলা ইসলাম সহ আরো অনেকে তাদের সফলতার গল্প বলেন।

এসময় ব্রাঞ্চের সহকারী-কোর্ডিনেটর নাইমুর রহমান দুর্জয়, প্রতিষ্ঠানের ট্রেনার সপ্তক চ্যাটার্জী, তাফসির আহাম্মেদ এবং বেলায়েত হোসেন সকলেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষিত যুবদের ভাগ্য পরিবর্তনের যে সুযোগ তা স্বীকার করেন।

ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডের বরিশাল সহকারী বিভাগীয় শেখ রিজওয়ান ফিদা প্রধান বলেন, প্রতিষ্ঠান শুধু প্রশিক্ষণ দিয়েই শেষ করছে না এর পাশাপাশি জব প্লেসমেন্ট এর সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছি। এখান থেকে প্রশিক্ষণ শেষ করে এই প্রতিষ্ঠানেই সিপিএ মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং ও গ্রাফিক্স ডিজাইনে কাজের সুযোগ পাচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানে দক্ষ শিক্ষক দিয়ে ক্লাস পরিচালিত হয়। সকলে একসাথে কাজ করার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী যুবকেরা উপকৃত হচ্ছে, এবং টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পুসিকান্ত হাজং তার মূল্যবান বক্তব্যে বলেন, বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তি এবং দক্ষতা ছাড়া উন্নয়ন কল্পনাও করা যায় না। আমাদের দেশের তরুণরা যেনো পিছিয়ে না পড়ে, সে লক্ষ্যেই সরকার ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডের মাধ্যমে দেশব্যাপী ফ্রিলান্সিং এর মতো কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এ উদ্যোগ শুধু প্রশিক্ষণ নয়, বরং আত্মকর্মসংস্থানের পথও তৈরি করছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি শাকাওয়াত হোসেন বলেন “এই ধরণের উদ্যোগ বাস্তবিক অর্থেই যুগোপযোগী। ই-লার্নিং ভিত্তিক দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে আমাদের যুবসমাজ শুধু অনির্ভর নয়, বরং বৈশ্বিক ডিজিটাল অর্থনীতিতে অবদান রাখার মতো সক্ষম হয়ে উঠছে। আমরা চাই এমন প্রশিক্ষণ আরও সম্প্রসারিত হোক এবং প্রত্যশড় অঞ্চলের যুবকরাও যেন এ সুযোগ পায়।”

Auto House

Leave A Reply

Your email address will not be published.