বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের সব নদী-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে কীর্তনখোলা নদীর জোয়ারের পানিতে নগরীর নদী তীরবর্তী জনপদ পানিতে তলিয়ে গেছে।
শুক্রবার বিকেল ৩টার পর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকা।
বরিশাল নগরীর প্রধান সড়ক সদর রোডসহ অনেক এলাকায় কীর্তনখোলার জোয়ারে তলিয়ে গেছে। নগরীঘেষা কীর্তনখোলার নদী তীরবর্তী এলাকায় তলিয়ে যাওয়ায় ওই এলাকাগুলোতে জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,
নগরীর সদর রোড,কেডিসি কলোনী, নামারচর, হিরননগর, ভাটিখানা, পলাশপুর, সাগরদী ধান গবেষণা রোড এলাকায় অনেক বসতবাড়িতে প্রায় হাঁটুসমান পানি।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রকৌশলী তাইজুল ইসলাম শুক্রবার বিকেলে তিনি জানান, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে বরিশালেল কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার, বাকেরগঞ্জের বুড়িশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার, বাবুগঞ্জের নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার, হিজলার ধর্মগঞ্জ নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার, ঝালকাঠীর বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার, বরগুনার বেতাগীর বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখানের মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮২ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনে মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪৫ সেন্টিমিটার, ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।