সরকার কতৃক বরিশাল-ভোলা নৌরুটে স্পীডবোটের যাত্রী ভাড়া ৩শত টাকা নির্ধারণ করে দেওয়ার প্রতিবাদে চলাচল বন্ধ করে ধর্মঘট ডেকেছে বরিশাল জেলা স্পীডবোট মালিক ও শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা।
৩০জুলাই,বুধবার দুপুরে প্রথমে ভোলা স্পিড বোট মালিক সমিতি যাত্রীবাহী স্পিড বোট চলাচল বন্ধ করে দেয় পরবর্তীতে একই দাবীতে বরিশাল মালিক সমিতি ধর্মঘটের ডাক দেয়।
এ সময় ভাড়া বৃদ্ধির দাবীতে বরিশাল নগরীর ডিসিঘাট এলাকায় বিক্ষোভ করে স্পিড বোট মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও চালকরা।এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে বরিশাল-ভোলা রুটের যাত্রীরা।
চালকদের দাবি, আগে একটি স্পীডবোটের প্রতি ট্রিপে ৯জন যাত্রী পরিবহন করে টিকিট প্রতি সাড়ে ৩শত টাকা আদায় করা হতো। কিন্তু সরকার ৩শত টাকা ভাড়া নির্ধারণ এবং একটি স্পীডবোটে ৮জন যাত্রী পরিবহণের নিয়ম করেছে। এমনিতেই যাত্রী সংকট ও জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির কারলে এই রুটের চালক ও মালিকরা লোকসানে রয়েছে।
বরিশাল জেলা স্পিডবোট মালিক-শ্রমিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক অহিদুল আলম জানান, তাদের এই রুটে যাত্রী সংকট। এ কারণে একটি স্পিডবোট বরিশাল থেকে ভোলায় গেলে রোটেশন অনুযায়ী তিন-চারদির পর যাত্রী নিয়ে ফিরতে হয়। অর্থাৎ চারদিনে আয় হবে ৪ হাজার ৮শ টাকা। এ থেকে তেল খরচ এবং চালকের বেতন দেওয়ার পর কিছুই থাকে না। আমাদের দাবি ভাড়া অন্তত আরও ৫০ টাকা বাড়িয়ে জনপ্রতি ৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। তা না হলে যাত্রী সংখ্যা ৮ জন থেকে বাড়িয়ে ৯ জন করা হোক।
ভোলার যাত্রী রাজু মিয়া বলেন, স্পীডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছি। এখন কিভাবে বাড়ি ফিরবো তা বুঝতে পারছি না। অবিলম্বে এসমস্যা সমাধানের দাবি জানান তিনি।
বিআইডব্লিউটিএ’র বরিশাল নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক শেখ মো. সেলিম রেজা বলেন, স্পিডবোটের ভাড়া নির্ধারণ করেছে সরকার। তাই মালিক এবং চালকদের দাবির বিষয়েও সরকার যে সিদ্ধান্ত দিবে সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তথ্যমতে বরিশাল-ভোলা প্রান্ত থেকে যাত্রী পরিবহন করে শতাধিক স্পিডবোট।