Take a fresh look at your lifestyle.

শেবাচিমে পিতা-পুত্রকে ট্রলি বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগে বরখাস্ত

৫৬
বরিশাল শেরে ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদ এবং অফিস সহায়ক বায়েজিদকে ট্রলি বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
৩আগষ্ট,রবিবার হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও অভিযোগ তদন্তে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে। সেই কমিটি আগামী তিন দিনের মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে। অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম ও অফিস সহায়ক বায়েজিদ সম্পর্কে বাবা-ছেলে।
  • চিঠিতে বলা হয়- স্বাস্থ্যখাতে সংস্কার আন্দোলন নামে কয়েক দিন ধরে ছাত্রজনতা বরিশালে আন্দোলন করছে। শনিবার আন্দোলনকারীরা শেবাচিম হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে এই দুজনের বিরুদ্ধে ট্রলিবাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন না করতে বলা হয়েছে ওই চিঠিতে।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, শেবাচিম হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. মাজহারুল রেজওয়ান, ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিস্ট ডা. ফয়সাল আহমেদ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল জলিল মিয়া। আগামী তিন দিনের মধ্যে এই তদন্ত কমিটিকে হাসপাতালের পরিচালক বরাবর প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

 

  • হাসপাতাল সূত্রসহ একাধিক ভূক্তভোগীর অভিযোগ, ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম গত ২৫ বছর ধরে শেবাচিম হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছে। এই সুযোগে তার অধীনে থাকা কর্মচারীদের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে অনৈতিক সুবিধা নিত বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া কর্মচারীদের পছন্দের ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিয়ে অবৈধ সুবিধা আদায়, হাসপাতালের রোগীদের কমিশনের বিনিময়ে পার্শ্ববর্তী ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে পাঠানো, মৃতদেহের ফ্রিজ ভাড়ার সরকারি রশিদ নকল করে টাকা আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে। আবুল কালামের ছেলে বায়েজিদ ২০১৫ সালে শেবাচিম হাসপাতালের অফিস সহায়ক পদে যোগ দেন। এরপর থেকে বাবা ছেলের মিলে সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যরা রোগীদের দুর্ভোগে ফেলতো বলে অভিযোগ হাসপাতাল সূত্রের।
এদিকে রবিবার বিকেলে ‎শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালসহ বাংলাদেশের সকল সরকারি হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা পরিবর্তন ও স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের তিন দফা দাবিতে প্রতীকী লাশ নিয়ে হাসপাতালের সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। সর্বস্তরের ছাত্র জনতার ব্যানারে ৭ম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় আন্দোলকারীরা জানান, যতদিন পর্যন্ত দাবি আদায় ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু না হবে ততদিন পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
Auto House

Leave A Reply

Your email address will not be published.