বরিশালে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ শ্মশান দিপালী উৎসব। প্রায় শত বছরের এই উৎসবে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত,নেপালসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
নগরীর কাউনিয়ায় বরিশাল মহাশ্মশানে এই অনুষ্ঠানের মূলপর্ব চলে রোববার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত।
শ্মশান দিপালী দিনটিতে প্রয়াত স্বজনদের সমাধী সাজানো হয় রংবেরঙের ফুল আর আলোকসজ্জা করা হয়। একই সঙ্গে সমাধীগুলোতে দেওয়া হয় নানান প্রকার খাবার। এসবের মাধ্যমে প্রয়াত স্বজনদের আত্মা শান্তি পায় বলে বিশ্বাস সনাতন ধর্মাবলম্বীদের।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম জানান,এই আয়োজন সুষ্ঠু করতে শ্মশানের আকাশে ড্রোন উড়িয়ে নজরদারীর পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরে কাজ করছে পুলিশ। এছাড়াও সহায়তা কেন্দ্র চালুসহ আগতদের যাতায়াত সহজ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সভাপতি অসিম কুমার দাস মুরালি বলেন, দীপাবলি উৎসবকে কেন্দ্র করে সবার অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম করেছি। ঐতিহ্যবাহী এই শ্মশানে রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের পিতা সত্যানন্দ দাশ, জীবনানন্দ দাশের পিতামহ সর্বানন্দা দাশ, দেবেন্দ্রনাথ ঘোষ, কালিচন্দ্র ঘোষ, মনোরমা বসু, অশ্বিনীকুমার দত্ত সহ অসংখ্য গুণিজনের সমাধী রয়েছে এখানে।
সাধারণ সম্পাদক বিজয় ভক্ত বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, কালি পূজার আগের দিন ভূত চতুর্দশী তিথিতে পূজা অর্চনা করলে প্রয়াত ব্যক্তির আত্মা শান্তি লাভ করে। তাই সমাধিস্থলে নিবেদন করা হয় প্রয়াতের পছন্দের প্রিয় খাবার। এছাড়াও মোমবাতি প্রজ্বালন করে প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন স্বজনরা।