Take a fresh look at your lifestyle.

ইসলামীক রিচার্স সেন্টার বাস্তবায়নের দাবিতে মুসলিম ইনস্টিটিউটের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন বরিশাল অডিটোরিয়ামের সামনে নিজস্ব জমিতে মুসলিম ইনস্টিটিউটের ইসলামীক রিচার্স সেন্টার ও মসজিদ নির্মাণ কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার সকাল ৯টায় সদর রোডস্থ জমিটির সামনে জাতীয় ইমাম সমিতি বরিশাল মহানগরের উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মুসলিম ইনষ্টিটিউটের সভাপতি অধ্যক্ষ প্রফেসর আঃ রব, মডেল জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মনির হোসেন, বরিশাল ইমাম সমিতির সেক্রেটারি মাওলানা রুহুল আমীন, বটতলা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শহীদুল ইসলাম, প্রিন্সিপাল মাওলানা ফরিদুল আলম, জাতীয় ইমাম সমিতিরি সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা এবিএম মোশাররফ হোসাইন, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা শাহাদাত হোসেন, আমির কুটির জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, জাতীয় ইমাম সমিতির মহানগর সভাপতি ডাঃ হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুন, সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ জাকির হোসেন, ইসলামীক বক্তা মাওলানা কাওসার হামিদি, বাংলাবাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মুফতি আব্দুল্লাহ আল হাসান, হোসাইনিয়া মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমূখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই জমিটি মুসলিম ইনস্টিটিউটের। জমিদাতা এখানে মুসলমানদের সন্তানদের জন্য ইসলামীক রিচার্স সেন্টার করার উদ্দেশ্যেই দান করেছিলেন। তাই এখানে মসজিদ কমপ্লেক্স, স্বাস্থ্যসেবা, কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রকল্প, তালিমুল কুরআন, নিরক্ষরতা দুরীকরণ, ইসলামীক পাঠাগার, দারিদ্র বিমোচেন কর্মসূচী, ছিন্নমূল শিশু শিক্ষাক্রম, সমাজ কল্যাণ বিভাগ, আইসিটি পরিসংখ্যান, বস্ত্র বিরতরণ সহ নানা কল্যাণমূখী প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। যারা এসব কর্মসূচী বাস্তবায়নের বাধা দিচ্ছে তারা আইনগতভাবে অবৈধ। মোহামেডান ক্লাবের যারা বাধা দিচ্ছেন তারা কেউ তাদের স্বপক্ষে কোন কাগজ দেখাতে পারেনি। তাছাড়া জমিদাতা ফজরে রাব্বি তাদেরকে ক্লাব করার অনুমতি দিয়েছে এমন কোন প্রমাণও তার উপস্থাপন করতে পারেনি। আমরা সকল বাধা উপেক্ষা করে এসব প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন মুসলিম ইনষ্টিটিউটের কমিটির সদস্য মাওলানা একেএম ফজলুর রহমান, মোঃ শামীম কবির, মাওলানা জিয়াউল হক, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, মোঃ হাবিবুর রহমান, আবু আব্দুল্লাহ মাসুম, ডাঃ সাইদুর রহমান সহ অর্ধশতাধিক ওলামা অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে তাদের কমিটির নাম সম্বলিত ব্যানারটি সাইনবোর্ডের সাথে সাটিয়ে দেন।

বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা যায়, ১৯৩৭ সালে বরিশালের জমিদার সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী বরিশাল শহীদ মিনার সংলগ্ন এলাকায় নিজের ৩৩ শতাংশ জমিতে মুসলিম ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনেও এই মুসলিম ইনস্টিটিউট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

পরবর্তীতে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরীর ওয়ারিশগণ এই জমির একাংশে মহামেডান স্পোটিং ক্লাব প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেন। সেই থেকে এই জমির একাংশে মোহামেডান ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়। শওকত হোসেন হিরণ মেয়র থাকাকালে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরীর দান করা মুসলিম ইনস্টিটিউটের ৩৩ জায়গার কিছু অংশ দখল করে বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়াম নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে সাদিক আবদুল্লাহ মেয়র থাকাকালে রাতের আধারে মোহামেডান স্পোটিং কøাব ভেঙে ফেলা হয়।

জুলাই বিপ্লবের পর মুসলিম ইনস্টিটিউটের জায়গা পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নেয়া হয়। গঠিত হয় মুসলিম ইনস্টিটিউটের একটি কমিটি। এই কমিটির আহবায়ক নিযুক্ত হন বিএম কলেজের ইসলামী শিক্ষা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোহাম্মদ আবদুর রব। সদস্য সচিব হন সাবেক কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট সালাহউদ্দিন মাসুমসহ ইসলাম পন্থী নগরীর বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

তারা ভূমি অফিসের রেকর্ড রুম থেকে অতীতের সকল কাগজপত্র উদ্ধার করে মুসলিম ইনস্টিটিউটের নামে থাকা সকল জমির খাজনা পরিশোধ করেন। সেখানে দেখা যায় এসএ দাগে কিছু জমি মুসলিম ইনস্টিটিউটের নামে আবার বিএস দাগে কিছু জমি মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের নামে। কাগজপত্র অনুযায়ী জায়গাটির অধিকাংশ মালিকানা মুসলিম ইনস্টিটিউটের। যার দানপত্র রয়েছে বর্তমান কমিটির হাতে। মুসলিম ইনস্টিটিউটের নেতৃবৃন্দ দালিলিক কাগজ দেখিয়ে জানালেন, এখানে মোট ৩৩ শতাংশ জায়গা থেকে ২৬ শতাংশ এখন অবশিষ্ট রয়েছে। আবার বরিশাল অডিটোরিয়ামের ভিতর চলে গেছে ৭ শতাংশ জমি। এমতাবস্থায় বাকী জমি যাতে বেহাত না হয় সেজন্য সিটি করপোরেশন মুসলিম ইনস্টিটিউটকে ২৬ শতক বুঝিয়ে দিয়েছেন বলে দাবী করেন কমিটির নেতারা।

 

Auto House

Leave A Reply

Your email address will not be published.