আমেরিকা থেকে পাঠানো ডলার ভর্তি পার্সেলে খোয়া গেল ৭৮ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আমেরিকান লেডি আর্মি অফিসার ডায়না’র পাঠানো ডলার ভর্তি লাগেজ আনতে গিয়ে নিঃস্ব প্রায় বরিশাল নগরীর এক বাসিন্দা। চাকরির অবসরের টাকা, জমানো টাকা ও ধার করা প্রায় ৭৮ লাখ টাকা প্রতারককে দিয়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন ওই ব্যাক্তি।

এই ঘটনায় বিএমপি কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ব্যাক্তি। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম  তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে অভিযান পরিচালনা করে ৩৫ টি ব্যাংকের ৮৬ টি ডিজিটাল ব্যাংক (এটিএম) কার্ড, বিভিন্ন ব্যাংকের ১৫১ টি চেকের পাতা, একটি অ্যানড্রয়েডসহ চারটি মোবাইল সেট ও ৮ টি সিমসহ প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ।

গ্রেপ্তার মো. সোহাগ শেখ (২৪) শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পাঁচগাও গ্রামের মো. জব্বার শেখের ছেলে।

০৭ জুলাই, রবিবার বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সদরদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপ পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলী আশরাফ ভূঞা, বিপিএম (বার)।

ঘটনার বিবরণে উপ-কমিশনার মো. আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, মামলার বাদী বরিশাল নগরীর বাসিন্দা রত্নেশ্বর মাঝি (৬৫) একজন বেসরকারি অবসরপ্রাপ্ত চাকুরিজীবী। গত বছরের ১৯ নভেম্বর তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে  বাংলাদেশের কাস্টমস থেকে এক অফিসার ফোন করে জানায় যে আমেরিকা থেকে ডায়না নামক এক ব্যক্তি তার নামে একটি পার্সেল পাঠিয়েছে। যার মধ্যে বিপুল পরিমাণ ডলার আছে। এবং ডলারগুলো কাস্টমস থেকে ছাড়ানোর জন্য পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পরিমাণের টাকা দাবি করেন। ডলারের লোভে পরে রত্নেশ্বর মাঝি বিভিন্ন সময় কাস্টমস অফিসার কে বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্ট ও বিকাশের মাধ্যমে ৭৭ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা পাঠান এবং ক্রমশ বিভিন্ন অজুহাতে আরও টাকা চাইতে থাকে। তখন রত্নেশ্বর মাঝি সন্দেহ হলে সে কাস্টমস অফিসে গিয়ে এ সংক্রান্ত খোঁজখবর নিয়ে বুঝতে পারে যে সে প্রতারকের ফাঁদে পড়েছে। তখন বাদী কোতয়ালি মডেল থানায় সংশ্লিষ্ট ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন।

উপ-কমিশনার আশরাফ ভূঞা আরোও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গ্রেপ্তার সোহাগ শেখ প্রতারক চক্রের প্রথম স্তরের প্রথম ম্যান। এখানে কমপক্ষে আরও ৪ থেকে ৫ টি ধাপে ১০-১২ বা তার অধিক সদস্য রয়েছে। যার মধ্যে দেশের বাহিরে বিদেশেও একটি স্তর থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।এ চক্রের বাকী সদস্যের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।

Comments (০)
Add Comment