কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির বরিশাল জেলা কার্যালয় ভাংচুর

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির বরিশাল জেলা কার্যালয় ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে অনিদিষ্টকালের জন্য সকল ঔষধের দোকান বন্ধ ঘোষনা করেছে ঔষধ ব্যবসায়িরা।
রবিবার বিকেল ৫টার দিকে বরিশাল নগরীতে মাইকিং করে সব ঔষধের দোকান বন্ধ করে ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়।
এতে করে নগরীর ৫ শতাধিকসহ জেলার কয়েক হাজার ঔষধের দোকান বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সদর হাসপাতালসহ নগরীর বেসরকারি হাসপাতালগুলেতে ভর্তি থাকা রোগী ও স্বজনরা।
গুরুতর রোগীদের ঔষধ  না পেয়ে রোগীর স্বজনরা শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের সামনে সড়কে বিক্ষোভ করেন। একাধিক রোগীর স্বজনরা জানান, তাদের গুরুতর অসুস্থ রোগীরা জরুরী ঔষধ না পাওয়ায় অবস্থার অবনতি হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে প্রয়োজনীয় ওষুধ না পেয়ে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তারা দিকবেদিক ছুটোছুটি করেও ওষুধ পাচ্ছে না। সর্বশেষ রাত ৮টা পর্যন্ত এ অবস্থা চলামান ছিলো।
এদিকে ফর্মেসি মালিকরা দোকান বন্ধ করে সদর রোড তাদের নিজস্ব কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকে। এসময় ব্যবসায়িরা জানান, সোমবার সকাল ১০ টার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে আরো কঠোর আন্দোলন করা হবে।
জানা গেছে, রবিবার ভোররাতে বরিশাল নগরীর সদর রোডস্থ বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির জেলা কার্যালয়ের নিজস্ব ভবন ভাংচুর চালানো হয়। এঘটনায় জড়িত এক জন শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই ঘন্টা ধরে চালানো তান্ডবে বিশ জন শ্রমিক অংশ নেয়।
বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির কম্পিউটার অপারেটর দেবাশীষ হালদার বলেন, পাশ্ববর্তী পর্যটন হোটেল মালিক ইকবাল আজম তাদের সমিতির নিজস্ব ভবনের জমির মালিকাকানা দাবি করে পর্যায়ক্রমে ২১টি মামলা করেন। কিন্তু আমাদের বৈধ্য ক্রয় দলিল রয়েছে। তারপরও শনিবার শেষ রাতে কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির অফিসে ওই হোটেল মালিকের লোকজন জমি দখলের জন্য ভাংচুর করে অনেকটা ক্ষতিগ্রস্থ’ করে এবং নগদ অর্থ নিয়ে যায়। তবে এ বিষয়ে হোটেল মালিক কিংবা কর্তৃপক্ষের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 
এদিকে আটক শ্রমিক জানিয়েছেন, তাদেরকে ভবন ভাঙ্গার জন্য আনা হয়েছিল। তিনি দৈনিক মজুরী ভিত্তিতে কাজ করেছেন তাকে যে কাজ দেয়া হয়েছে তাই তিনি করেছেন এখানে তার কোন দোষ নেই। এদিকে সকালে খবর পেয়ে বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সদস্যরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন।
এসময় তারা হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।অপরদিকে সন্ধ্যা ৬টায় নগরীর অশ্বিনী  কুমার হলের সামনে বরিশাল নগরীর ওষুধ ব্যবসায়িরা জরো হয়ে বিক্ষোভ করে। এসময় কার্যালয় ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়িরা। এর আগে দুপুুরে কোতয়ালী মডেল থানায় ৪ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম।
এই ঘটনায় অভিযুুক্ত পাশ্ববর্তী পর্যটন হোটেল মালিক ইকবাল আজমকে দ্রæত গ্রেফতারের দাবি জানান। তিনি দ্রত গ্রেফতার না হলে সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে কঠোর আন্দোলনের যাওয়ার হুশিয়ারী দেন বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির এই নেতা।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, এই ঘটনার স্থান পরিদর্শন করেছে পুলিশ। সমিতির পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এই ঘটনায় আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
Comments (০)
Add Comment