স্টাফ রিপোর্টার : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা উপলক্ষে বরিশাল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় নিজ দলীয় নেতাকর্মীর হামলায় কৃষকলীগের ১ নেতার মৃত্যুসহ আহত হয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক। এরমধ্যে ২১ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক।
২৯ ডিসেম্বর (শুক্রবার) বিকেল ৩টার দিকে প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে ওঠার কিছুক্ষণ পরই সংঘাতে মেতে ওঠে বরিশাল ৪-আসনের নৌকার প্রার্থী শাম্মী আহমেদ ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি পঙ্কজ দেবনাথে অনুসারীরা।
আহতরা বলেছেন, তারা মিছিল নিয়ে মাঠে প্রবেশ করতেই শাম্মী আমেদ এর সমর্থকরা পানির বোতল মারে তাদের মিছিলের উপর। এতে দুই গ্রুপের উত্তেজনা সৃষ্টি হলে এক পর্যায় সেটা সংঘর্ষে পরিণত হয়। এ সময় কাঁচের বোতল, ইটের টুকরা ও ফেষ্টুনের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে তাদের।
তারা আরো বলেন, পৌরসভার এক নং ওয়ার্ড কমিশনার জাহাঙ্গীর হোসেন, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাকিল বেপারী ও ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ খানের নেতৃত্বে এমন সংঘর্ষ হয়।
আ.লীগের দু’পক্ষের হামলায় প্রাণ হারিয়েছে হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের কৃষকলীগের সভাপতি মিরাজ সিকদার (৫৫)।
এছাড়া আহত হয়েছেন সোহান (২৬), শিপন (৩০), সিয়াম (২৩), সিজান (১৮), সিপন (১৮), ইয়াসিন (৩২), কামরুল ইসলাম (৫৫), সেকেন্দার গাজী (৩৫), আলাউদ্দিন (৬৫), আলামিন (২২), কালাম (৩০), নয়ন (৩০), মাইদুল (৩৬), মনির (৪০), আলী হোসেন (৩৬), হান্নান (৩৫), ধনু বেপারী (৫৭), হানিফ (৬০), মেহেদী খান (৬০), রুহুল আমিন (৪০) ও আলী হোসেন (৩৬)।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী ও জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।
পঙ্কজ নাথের সমর্থকরা অভিযোগ করেন, শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে প্রবেশের পরপরই শাম্মী আহম্মেদের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তাদের কয়েকজন কর্মী মাথা ফেটে গেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই এই হামলা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন।
অপরদিকে শাম্মী আহম্মেদের অনুসারীরা সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তেমন কিছু হয়নি। তবে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে আইন শৃঙ্খলা বাহীনির সদস্যরা।