আমার জীবন-যৌবন রাজনীতির জন্য, এদেশের মানুষের জন্য ব্যয় করেছি- হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) দিবস উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসের শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধা, র‌্যালি, আলোচনা সভা ও নবাগত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে এই কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরীবিক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি।

ববি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও ববি ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া। আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান,পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম, বরিশাল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর হোসাইন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মোঃ ইউনুস, সাবেক সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ প্রমুখ।

কর্মসূচীর শুরুতে প্রধান অতিথি বেলুন ও ফেষ্টুন উড়িয়ে কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন। এসময় ববির শহিদ বেদীতে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে অতিথি ও শিক্ষার্থীরা একটি র‌্যালিতে অংশগ্রহণ শেষে আলোচনা সভা হয়। সভা শেষে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের স্নাতক (সম্মান) শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেন অতিথিরা।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বলেন, আমার জীবন-যৌবন রাজনীতির জন্য, এদেশের মানুষের জন্য ব্যয় করেছি। মুক্তিযুদ্ধ করেছি, এই দেশের মঙ্গলজনক সকল আন্দোলন করেছি। নিজের দেশ ও জাতির সঠিক ইতিহাসটি জানতে হবে,আপনারা (শিক্ষার্থীরা) সঠিক ইতিহাস জানবেন, পরবর্তী প্রজন্মকে জানাবেন। যে জাতি তার ইতিহাস জানে না, সেই জাতি কোনদিনই মর্যাদাশীল জাতি হতে পারেনা।

১৯৭৩ সালে বরিশাল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। তখন আমার (হাসানাতের) পিতা আবদুর রব সেরনিয়াবাত তার কাছে দাবি করে বলেছিলেন, ‘আমাদের দক্ষিণাঞ্চল অবহেলিত, তাই একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন’। বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোন বিশ্ববিদ্যালয় যদি হয় আগে দক্ষিণাঞ্চলে হবে’। দুর্ভাগ্যের বিষয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে সেদিন যারা ক্ষমতায় আসলেন তারা এই স্বপ্ন পূরণ করেনি। তা বাস্তব করেছেন বঙ্গবন্ধুর মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের জাতির, যারা এই হত্যাকান্ডে জড়িত ছিলো তারাই স্বীকার করেছেন হত্যাকান্ডের কথা। এরপর যারা ক্ষমতা গ্রহণ করলেন, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করলেন, উর্দি পরে নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করলেন এবং হা-না ভোট দিলেন তারা এই বিচারের পথটারে রুদ্ধ করে দিলেন। বিচার ঠেকিয়ে হত্যাকান্ডে জড়িতদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকুরী দেওয়া হয়েছে।

Comments (০)
Add Comment