নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেন, দেশে যদি পরিবর্তন আসে, ইমাম–উলামাদের ঈমানের মর্যাদায় নেতৃত্ব দেওয়ার মাধ্যমেই সেই পরিবর্তন বাস্তবায়িত হবে।ইসলামী শরীয়তের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করা হলে এই দেশে আর কোনোদিন ফ্যাসিজম ফিরে আসবে না।
১৪ নভেম্বর,শুক্রবার বরিশাল নগরীর টাউন হলে ওলামা বিভাগ ও বাংলাদেশ মসজিদ মিশন, বরিশাল মহানগর আয়োজিত ওলামা–মাশায়েখ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন তিনি।
অ্যাড. হেলাল আরও বলেন, সবচেয়ে বড় শিক্ষক হলেন আলেম সমাজ। বিদ্যালয়–কলেজে জ্ঞান অনেক দেওয়া হয়, কিন্তু নীতি–নৈতিকতা, আদব–আখলাক, সৎ চরিত্র—এসব তো আলেমরাই শিক্ষা দেন। সমাজের নৈতিক ভিত্তি রক্ষায় তাদের ভূমিকা অত্যাবশ্যক।
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আলেমদের ঐতিহাসিক অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন—এখনো অনেকে ফ্যাসিস্টের কথায় কথা বলছে, আবারও জাতির কাছে তারা প্রত্যাখ্যাত হবে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শক্তিকে দূর করতে আলেমদের অবদান ছিল অপরিসীম। আলেম সমাজ রাস্তায় নামলে অপসংস্কৃতির শক্তি টেকে না—শাপলায় কলেমার আওয়াজ যেমন তা প্রমাণ করেছে।
ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন— আলেম সমাজ সব ভেদাভেদ ভুলে, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে নতুন ভাবে দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ইসলামী শরীয়তের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করা হলে এই দেশে আর কোনোদিন ফ্যাসিজম ফিরে আসবে না।
উলামা বিভাগের অধ্যাপক মাওলানা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বরিশাল মহানগর আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মু. বাবর।
সমাবেশে প্রধান আলোচক ছিলেন- লুৎফুর রহমান ক্যাডেট মাদরাসা অধ্যক্ষ এ কিউ এম আবদুল হাকীম মাদানী,
আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন, মহানগর সহ-সভাপতি, মসজিদ মিশন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবদুর রব,বাঘিয়া আল আমিন কামিল মাদরাসা – অধ্যক্ষ ড. মাওলানা মো. আবু বকর সিদ্দিক, ঝালকাঠী নেছারাবাদ এন.এস কামিল মাদরাসা প্রধান মুফতি মাওলানা শফিকুল ইসলাম,বরিশাল জামায়াতে ইসলামী ওলামা বিভাগ অধ্যক্ষ মাওলানা মো. সোহরাব হোসেন, মহানগর সভাপতি, মসজিদ মিশন ও সাবেক পরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- মাওলানা একেএম ফজলুর রহমান।
বক্তারা বলেন, সামাজিক অবক্ষয়, নৈতিক সংকট ও রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে ওলামা–মাশায়েখদের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামি শিক্ষা, নৈতিক জীবনের দিশা, শান্তি–সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা এবং তরুণ প্রজন্মকে সঠিক পথে রাখা এসব ক্ষেত্রেই আলেমদের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা জরুরি।ইসলামি দিকনির্দেশনা, নৈতিক দৃঢ়তা ও দায়িত্বশীল নেতৃত্বই একটি ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিময় সমাজ নির্মাণের পথ খুলে দিতে পারে।
সমাবেশে আলেম–ওলামা, ইসলামি স্কলার, মাদরাসা শিক্ষক ও মসজিদ মিশনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।