ঈদে ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে সোমবার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদে ঘরমুখো মানুষের জন্য ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটে চলাচলকারী বেসরকারি লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে সোমবার থেকে।

আগাম টিকেট বিক্রি চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত।

ঢাকা থেকে বরিশাল আসা ও বরিশাল থেকে ঢাকায় ফেরার উভয় টিকিট ওই তারিখের ম‌ধ্যে বিক্রি করা হবে। ইতিমধ্যে আগাম টিকেট প্রাপ্তির জন্য দুই একটি লঞ্চ ছাড়া অন্য সকল কাউন্টারে আবেদন গ্রহন করা হয়েছে ব‌লে বাংলাদেশ যাত্রীবাহী লঞ্চ মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে।

তবে ঈদ উপলক্ষে লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস ( ডাবল ট্রিপ) কবে থেকে শুরু হবে তা এখানো ঠিক করেনি বিআইডব্লিউটিএ কতৃপক্ষ। দীর্ঘ ছুটি এবং লঞ্চের আকার বৃদ্ধি, যাত্রী ধারনক্ষতা বেশী এবং লঞ্চের সংখ্যা বেশী থাকার কারনে অধিকাংশ লঞ্চ মালিক স্পেশাল সার্ভিস (ডাবল ট্রিপ) দিতে আগ্রহী হচ্ছে না।

সুন্দরবন নেভিগেশনের পরিচালক ও বরিশাল লঞ্চ মালিক সমিতির সদস্য সাইফুল ইসলাম পিন্টু বলেন, এবছরের ঈদের আগে এবং পরে দীর্ঘ ছুটি থাকার কারনে আগামী ২৮ থেকে ৩০ তারিখের পরে লঞ্চে যাত্রীদের চাপ কম থাকবে বলে মনে করছি। এছাড়া ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে লঞ্চের সংখ্যা, আকার ও ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কেবিনের চাহিদা সব সময়েই থাকে। দেখতে হবে ডেকের যাত্রীদের অবস্থা। ডেকে যাত্রীদের চাপ না থাকার সম্ভবানা বেশী। তাই ডাবল ট্রিপ চালাতে চাইছি না।

অ্যাডভেঞ্চার লঞ্চের সত্বাধিকারী ও বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচালক নিজাম উ‌দ্দিন বলেন, ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটে চলাচলকারী লঞ্চগুলোতে চাহিদার চেয়ে কেবিনের সংখ্যা কম। ফলে ঈদে কেবিনের চাহিদা থাকে কয়েক গুণ। যে কার‌ণে আবেদনকারী সবাইকে কেবিনে দেওয়া সম্ভব হয় না। আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে লটারির মাধ্যমে যাত্রীদের মধ্যে টিকিট বিতরণ করা হবে।

সোমবার লঞ্চগুলোর ঢাকা ও বরিশালের কাউন্টার থেকে কেবিনের টিকিট সংগ্রহ করতে হবে।

বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, কেবিনের যাত্রীদের চাপ থাকলেই হবে না। ডেকের যাত্রীদের উপর নির্ভর করবে বিশেষ সার্ভিসের। ঈদের আগে পরে দীর্ঘ ছুটি থাকার কারনে লঞ্চ গুলোতে তুলনামূলক যাত্রীদের চাপ বিগত বছরের চেয়ে কম থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। যে কারনে লঞ্চ মালিকরাও ডাবল ট্রিপ দিতে তেমন একটা আগ্রহ প্রকাশ করছে না। স্পেশাল ট্রিপ কবে থেকে শুরু হবে এই সিদ্ধান্ত এখন পযর্ন্ত নেওয়া হয়নি।

আগামী সপ্তাহে নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়, বিআইডব্লিউটিএ এবং মালিক সমিতির যৌথ সভা হওার কথা রয়েছে। সেখানে ঈদে লঞ্চযাত্রা ও যাত্রীদের জন্য করনীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঈদ উপলক্ষে লঞ্চের বিশেষ সার্ভিস নিয়ে এখানো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আগামী ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ পরবে বলে মনে করা হচ্ছে। ঈদের প্রতিদিন ১০টি কোম্পানীর লঞ্চ চলাচল করবে। ঘরমু‌খো মানুষের চাপের উপর নির্ভর করবে এই রুটে বিশেষ সার্ভিসে কি পরিমান লঞ্চ চলাচল করবে।

Comments (০)
Add Comment