ঈদ যাত্রায় লঞ্চের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঈদকে সামনে রেখে লঞ্চের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আগে এলে আগে পাবেন এমন ঘোষণা দিয়ে বিক্রি শুরু করলেও টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ সাধারণ যাত্রীদের।

আর টিকিট কালোবাজারি রোধে কঠোর ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।

সোমবার সকাল থেকে বরিশালে বিভিন্ন লঞ্চের কাউন্টার গুলোতে ভিড় ছিলো টিকিট প্রত্যাশীদের। ঈদের অগ্রিম টিকিট যাত্রীদের বুঝিয়ে দিতে ব্যস্ত লঞ্চ কর্মচারীরা। আগাম টিকিট পেতে গত ১২ই এপ্রিল থেকে যাত্রীদের নামের স্লিপ নেয় বিভিন্ন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। সেই তালিকা ধরে এখন চলছে টিকিট বিক্রি। কিন্তু অগ্রিম টিকিটের জন্য নাম লিখে গেলেও টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ যাত্রীদের। স্বজনপ্রীতি, প্রভাবশালী আর কালোবাজারিদের হাতেই টিকিট চলে গেছে বলে অভিযোগ তাদের।

সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানীর টিকিট কাউন্টারে টিকিট নিতে আসা ব্যবসায়ী সোলায়মান সিকদার বলেন, ১৩ এপ্রিল স্লিপ দিয়ে গেছিলাম এই কাউন্টারে। এখন এসে টিকিট পাচ্ছি না। এরা টিকিট হাতেই রাখে। ক্রাইসিস এর সময় কালোবাজারে ছেড়ে দেয়। মায়া রহমান নামে এক ব্যাংকার বলেন, প্রভাবশালীদের কারণে এবং স্বজনপ্রীতির জন্য আমরা টিকিট পাচ্ছি না। সিন্ডিকেট করে কেবিনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।

সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানীর টিকিট বুকিং অফিস ইনচার্জ জাকির হোসেন বলেন, লঞ্চের কেবিনের চেয়ে যাত্রী চাহিদা বেশি থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রভাবশালীদের হাতে টিকিটের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সবাইকে তো টিকিট দেওয়া সম্ভব নয়। যারা পাচ্ছে না তারা নানা অভিযোগ তুলছে। তবে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীণ।

বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, লঞ্চের টিকিট নিয়ে কোন অনিয়মের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি আমাদের নজরদারিও রয়েছে। প্রতিদিন ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে ১৬টি লঞ্চ যাতায়াত করে। তবে ঈদের আগে ও পরে বিশেষ সার্ভিস চালু করে এই সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়।

 

 

Comments (০)
Add Comment