স্টাফ রিপোর্টার: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ক্যাম্পাসের আয়তন বৃদ্ধি ও পরিবহন সংকট নিরসনের তিন দফা দাবিতে ছত্রিশ তম দিনে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছেন। তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন ববি শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় গ্রাউন্ড ফ্লোরে আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের তিন দফার এই আন্দোলন শুরু হয় গত ২৮ জুলাই থেকে। আজ দুপুর ১২টায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। তবে জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে সে কর্মসূচি থেকে সরে আসেন তাড়া। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের নীরব ভূমিকা শিক্ষার্থীদের এ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য করেছে বলে শিক্ষার্থীদের দাবি।
শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবি হলো:
১. দ্রুততম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন।
২. ক্যাম্পাসের আয়তন বৃদ্ধি।
৩. সকল শিক্ষার্থীর জন্য শতভাগ পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করা।
আমরণ অনশনে থাকা ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শারমিলা জামান সেঁজুতি বলেন, “আমরা চাই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন। তাই আমরা চাই আমাদের দাবি গুলো প্রশাসন গুরুত্ব সহকারে দেখুক এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। তবে আমাদের আমরা এবার আমরণ অনশন কর্মসূচি থেকে পিছু হটছি না। আর দাবি আদায়ের এ কর্মসূচিতে আমাদের শিক্ষার্থীদের মাঝে কোন অঘটন ঘটলে তার দায়ভার অবশ্যই ববি প্রশাসনকে নিতে হবে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী অমিয় মন্ডল বলেন, “দক্ষিণবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ও জুলাই বিপ্লবের সর্বপ্রথম স্বাধীন ক্যাম্পাস বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারাটা যতটা না গৌরবের তার চেয়ে বেশি হতাশার। ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে পেরিয়ে গেছে ১৪টি বছর। অথচ সমসাময়িক সময়ে ও এর পরে প্রতিষ্ঠিত আরো অনেক বিশ্ববিদ্যালয় জমি অধিগ্রহণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা, গবেষণা সকল খাতে আমাদের চেয়ে এগিয়ে গেছে। বারবার শুধু আমাদের উপরই বৈষম্য করা হয়। এবার আমরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে হওয়া বৈষম্যের অবসান চাই।
শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকার যদি দ্রুত সময়ে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে কোনো ব্যবস্থা না নেয়, তবে আমরা আমাদের জীবন শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চালিয়ে যেতে বাধ্য হবে।