নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের বরিশালে আগমন উপলক্ষে ও কর্মী সম্মেলনের সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে সর্বস্তরের গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৯ জানুয়ারি,রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় বরিশাল নগরীর সদরোডস্থ কিংফিশার রেস্তোরায় এই মতবিনিময় সভা করা হয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পরে দেশ গঠনের জন্য অনেক কাজ বাকী আছে, অনেক ধরণের পদক্ষেপ বাকী আছে। আমাদের দলগত যে পদক্ষেপগুলো আছে সেগুলো সম্মন্ধে বরিশালে আগামী ২১ জানুয়ারির কর্মী সম্মেলনে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান র্নিদেশনা দিবেন। আর রাষ্ট্র সরকারের যা দরকার সে ক্ষেত্রে কর্মী হিসেবে রাজনৈতিক ময়দানে ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে আমাদের কি কাজ করতে হবে সে বিষয়ে তিনি বলবেন।
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বরিশাল মহানগর আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মু. বাবরের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও বরিশাল জেলা আমির অধ্যাপক আব্দুল জব্বার, বরিশাল মহানগরীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাহমুদ হোসাইন দুলাল, মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি হাফেজ হাসান আতিক, বরিশাল মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির অধ্যক্ষ প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের আহবায়ক অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম খসরু, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য হাফেজ সাইফুল ইসলাম, মহানগর শুরা সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন হাওলাদার।
বরিশাল মহানগর আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মু. বাবর বলেন, বরিশাল মহানগর ও জেলার সমন্বয়ে কর্মী সম্মেলন বরিশালের ইতিহাসে ২১ জানুয়ারি সবথেকে বড় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জেলা ও মহানগরে প্রায় পাঁচ লাখ কর্মী-রোকন আছেন। তাদের সকলকে উপস্থিত করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি বরিশালবাসী অধির আগ্রহে আছেন জামায়াতে ইসলামীর আমিরের জনসমাবেশে যোগ দিতে। সাধারণত কর্মী সম্মেলন একটি ইনডোর কর্মসূচি। তবে আমাদের কর্মী সংখ্যা বেশি হওয়ায় হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহ ময়দানে আয়োজন করা হয়েছে।
বরিশাল জেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল জব্বার তার বক্তব্যে বলেন, আমরা ১৬-১৭ বছর কথা বলতে পারিনি সৈরশাসকদের কারনে। আমাদের মতো সাধারণ মানুষও তাদের মত প্রকাশ করতে পারেনি। এখন সময় এসেছে দেশ গঠন করার, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।তিনি বলেন, জামায়াত ইসলাম এদেশে ইনসাফ চায়, ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আল্লাহর দেয়া বিধানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি কল্যানময় রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই আমরা।