ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে লালমোহনে ৩ শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ২

মনজুর রহমান-লালমোহন(ভোলা)প্রতিনিধিঃ

ভোলার লালমোহনে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে ৩ শতাধিক ঘর-বাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া আংশিক ক্ষতি হয়েছে আরো সাতশত বাড়ি-ঘর।

সোমবার রাতে উপজেলার বিভিন্নস্থানে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এতে করে গাছপালা উপড়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় বাড়ি-ঘরের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ ঘোষ।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে লর্ডহার্ডিঞ্জ, ধলীগৌরনগর, ফরাজগঞ্জ, রমাগঞ্জ ও পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নে। যেখানে প্রচণ্ড বাতাসে গাছ উপড়ে পড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে ঘর-বাড়ি। জেলায় এসব ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিক প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। এছাড়া দুর্গোতদের জন্য আপাতত ১০ টন চাল বরাদ্দ রয়েছে।

এদিকে সোমবার রাতে উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বৃদ্ধি পাওয়া পানির ভয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে গিয়ে পানিতে ডুবেই মোসা. আয়েশা (৩০) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।নিহত গৃহবধূ এ ইউনিয়নের ফাতেমাবাদ গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের স্ত্রী। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের দেবিচর গ্রামে জোয়ারের পানিতে বেসে আশা অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, গৃহবধূর নিহতের ঘটনায় কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে, বিদ্যুতের তারের ওপর গাছ উপড়ে পড়ে উপজেলাজুড়ে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। এতে করে চরম দুর্ভোগে রয়েছে লালমোহনের মানুষজন। অনেকের মোবাইল ফোনের চার্জ শেষ হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যা তীব্র আকাড় ধারণ করেছে লালমোহনে।

এব্যাপারে লালমোহন পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এ.কে.এম. ফজলুল হক বলেন, ঝড়ের তাণ্ডবে উপজেলার বিভিন্নস্থানে গাছ উপড়ে পরে বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে। যার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকেই আমাদের কর্মীরা বিদ্যুতের লাইন মেরামতের জন্য কাজ করছে। আশা করছি শিগগিরই পৌরসভার বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা সম্ভব হবে। তবে পৌরসভার বাহিরে বিদ্যুৎ চালু করতে সময় লাগতে পারে।

Comments (০)
Add Comment