টিকা নিতে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর ভিড়, ধাক্কাধাক্কিতে অসুস্থ ৫

নেত্রকোনার মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। একই সময়ে টিকাকেন্দ্রে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী আসায় লাইনে গাদাগাদি করে দাঁড়াতে হয়েছে তাদের। এতে মানা হয়নি কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। ভিড় সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে উপজেলা প্রশাসনসহ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা লোকজন।

মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা ধাক্কাধাক্কিতে শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার, সামিরা আক্তার, সাদিয়া ও সুমাইয়া, মনিরা নামের পাঁচ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের তাৎক্ষণিক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ওই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সারাদেশের ন্যায় নেত্রকোনার মদনে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। মদন উপজেলায় ১১ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থীকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। এবার দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ভিড় করেছে।

শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, মঙ্গলবার ১ হাজার ৭৪৫ শিক্ষার্থীর টিকা দেওয়া কথা। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অবহেলায় অতিরিক্ত শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ভিড় করেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন টিকাদান কার্যক্রমের সংশ্লিষ্টরা।

মদন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমি সুপারভাইজার জোসনা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, মঙ্গলবার ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ হাজার ৭৪৫ শিক্ষার্থী টিকা দেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। কিন্তু ভুল করে ছয়ের অধিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চলে আসায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ে টিকা কার্যক্রমের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখছি।

টিকাদান কর্মসূচির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বুলবুল আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ের খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করেছি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ আমি নিজে থেকে টিকাদান কার্যক্রম চালিয়ে যাই।

Comments (০)
Add Comment