দলের জয় ও নিজের ম্যাচ-সেরার খবর মোশারফ হাসপাতালে শুয়ে পেলেন

অনলাইন ডেস্ক: স্কোর বোর্ডে রান তখন ৪১। তার মধ্যেই ৬ উইকেটের পতন। সে সময়ে হাল ধরেন ১৫ বছরের সিফাত শাহরিয়ার সামি,ডাকনাম মোশারফ। একাই ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষের সামনে রানের পাহাড় তৈরি করেন।

একে একে ১১৫টি বল মোকাবিলা করেন তিনি। ৯টি চার ও ৬টি ছক্কায় ১৪৮ রানের এক মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেন খুদে এই ক্রিকেটার। আর তাতেই চ্যাম্পিয়ন হয় রাজধানীর কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

ফাইনাল জয়ের নায়ক বনে যান মোশারফ। কিন্তু উদযাপন করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি তার। ম্যাচ শেষ করার আগেই হাসপাতালে শয্যাশায়ী হতে হয়েছে তাকে। দলের জয় ও নিজের ম্যাচ-সেরার খবর সেখানে শুয়েই পেয়েছেন মোশারফ। এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন যে, নিজের অনুভূতির কথাও জানাতে পারেননি।

 

গতকাল প্রাইম ব্যাংকের জাতীয় স্কুল ক্রিকেটের ফাইনালে ফিল্ডিংয়ের সময়ে চোট পান মোশারফ। এরপরে অজ্ঞান হয়ে পড়ায় তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালে। দলটির কোচ মোস্তাফিজুর রহমান শাহরিয়ার বলেন, ‘শঙ্কা করা হচ্ছে, মোশারফ হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছে। ম্যাচ চলাকালীন চোট পাওয়ার পরে বেশ কয়েক বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন ও ম্যান অব দ্য ম্যাচের খবর তাকে জানানো হয়েছে। তিনি শুধু বলেছেন, স্যার আমার জন্য দোয়া করবেন। আর কিছু বলতে পারেননি। পরীক্ষানিরীক্ষা করা হচ্ছে, আশা করি কয়েক দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠবে।’

 

মোশারফ নবম শ্রেণিতে পড়াশুনা করছেন। বাবা রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয়েছে কোচ মোস্তাফিজের মাধ্যমে। ১৪৮ রানের ইনিংস খেলার পরে জানিয়েছেন নিজের পথচলা ও প্রিয় তারকাদের কথা। তার পছন্দের ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। মোশারফ একজন পেসার। তার প্রিয় বোলার মোস্তাফিজুর রহমান। বোলার হলেও ব্যাট হাতে যে জাদু দেখিয়েছেন তাতে মুগ্ধ হয়েছেন জাতীয় দলের তারকা মুশফিকুর রহিমও। উপহার হিসেবে দিয়েছে নিজের এক জোড়া গ্লাভস। এসব কিছুই মোশারফের অনুপ্রেরণা। স্কুল ক্রিকেটার হয়ে শুরু করা এই যাত্রাপথ কত দীর্ঘ করতে পারেন তিনি, সেটিই এখন সময়ের অপেক্ষা।

 

Comments (০)
Add Comment