দ‌ক্ষিণাঞ্চ‌লের নিন্মাঞ্চল প্লা‌বিত, সব নদীর পা‌নি বিপদস‌ীমার উপর

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ব‌ঙ্গোপসাগ‌রে লঘুচা‌পের প্রভা‌বে দ‌ক্ষিণাঞ্চ‌লের সকল নদ নদীর পা‌নি বিপদসীমা অ‌তিক্রম ক‌রে‌ছে। এ‌তে এই এলাকার নিন্মাঞ্চল প্লা‌বিত হওয়ার পা‌শাপা‌শি জলাবদ্ধতা সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে ব‌রিশাল নগরী‌তে।
বৃহস্পতিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানির স্তরের তথ্য বার জোন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, বিভাগের মধ্যে বরিশাল নগরী সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া বরিশালের পার্শ্ববর্তী জেলা ঝালকাঠীর বিষখালী নদীর পানি বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখানের সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনের সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
অন‌্যদি‌কে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানি বিপদসীমার ২৯ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে, বরগুনার বিষখালী নদীর পানি বিপদসীমার ৩৬ সেন্টমিটার,পাথরঘাটার বিষখালী নদীর পানি বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এছাড়া পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপতসীমার ২ সেন্টমিটার ও উমেদপুরের কচা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন পা‌নি উন্নয়ন বো‌র্ড ব‌রিশা‌লের উপ সহকা‌রি প্রকৌশলী মো: মাসুম তথ‌্যা‌দি নি‌শ্চিত ক‌রে‌ ব‌লেন, দ‌ক্ষিলাঞ্চ‌লের ২৩‌টি নদীর পা‌নির উচ্চতা প্রতি‌নিয়ত পর্যবেক্ষণ করা হয়। এই সব অঞ্চ‌লের নদ নদীর পা‌নিই বর্তমা‌নে বিপদসীমার উপ‌রে র‌য়ে‌ছে।
এ‌দি‌কে টানা বৃ‌ষ্টিপাত ও নদীর পা‌নি বিপদসীমা অ‌তিক্রম করায় দ‌ক্ষিণাঞ্চ‌লের বি‌ভিন্ন এলাকা প্লা‌বিত হ‌য়ে‌ছে। ঘর বা‌ড়ি‌তে পা‌নি ঢু‌কে পা‌নি ব‌ন্দি হ‌য়ে প‌ড়ে‌ছে ক‌য়েক হাজার মানুষ। ব‌রিশাল নগরীর বি‌ভিন্ন সড়‌কে পা‌নি উ‌ঠে গে‌ছে, এছাড়া নগরীর নিন্মাঞ্চল পা‌নির নি‌চে র‌য়ে‌ছে।
ব‌রিশাল আবহাওয়া অ‌ধিদপ্ত‌রের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আব্দুল কুদ্দুস ব‌লেন, বুধবার বিকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ২৪ দশ‌মিক ৬ মি‌লি‌মিটার বৃ‌ষ্টিপাত রেকর্ড করা হ‌য়ে‌ছে। এছাড়া বা‌তা‌সের গ‌তি‌বেগ ছি‌লো ৮ থে‌কে ১২ ন‌টিক‌্যাল মাইল। এছাড়া নদী বন্দ‌রে ২ ও সমুদ্র বন্দ‌রে ৩ নম্বর সং‌কের বলবৎ র‌য়ে‌ছে।
তি‌নি ব‌লেন, ব‌ঙ্গোপসাগ‌রে লঘুচা‌পের কার‌ণে এমন অবস্থার সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে। আরও ২/১ দিন বৃ‌ষ্টি থাক‌বে।
Comments (০)
Add Comment