নদী ও বেড়িবাঁধের পাশে বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে- পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী শামীম

বরগুনা সংবাদদাতা: বরগুনার পাথরঘাটায় ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক।

মঙ্গলবার (৪ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় পাথরঘাটায় হেলিকপ্টার যোগে পাথরঘাটায় এসে স্পিড বোর্ডে করে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন।

এ সময় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক পাথরঘাটা উপজেলার জিনতলা, কালঘেঘা, কাকচিড়া, মাঝের চরের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।

এ সময় সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ যে বেরিবাঁধগুলো রয়েছে সেখানে স্থায়ী বেরিবাঁধ করা হবে বলে জানান। এছাড়া কম ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে জিওব্যাগ দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, আপনারা গাছ লাগান। নদী ও বেড়িবাঁধের পাশে বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে। দেখবেন যে সব নদীর পাড় এবং বেড়িবাঁধের পাশে গাছ লাগানো আছে সেসব জায়গার বাঁধ ভাঙেনি।

তবে ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি যুগ যুগ ধরে স্থায়ী বেরিবাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে আসছে নেতারা। তবে এর কোনো বাস্তবায়ন নেই। প্রতিমন্ত্রীর কাছে আশ্বাস না দিয়ে অতিশীঘ্রই স্থায়ী বেরিবাঁধ এর দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বাসিন্দারা।

এ সময় অন্যদের উপস্থিত ছিলেন- বরগুনা ১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু, বেতাগী পৌর মেয়র গোলাম কবির, বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম, পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান, পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাবির হোসেন।

বরগুনা- ২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা বলেন, ২৬ ও ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় রিমালের ছোবলে পাথরঘাটায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া উপকূলের রক্ষাকবচ বেড়িবাঁধ প্রতি বছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি শক্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণের।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যেই পাথরঘাটা উপজেলায় বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য সাড়ে ১৪০০ কোটি টাকা এবং বামনা উপজেলায় সাড়ে ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্পের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। যা বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে সেখান থেকে অনুমোদন হয়ে একনেকে উঠানোর প্রক্রিয়া চলমান।

 

Comments (০)
Add Comment