নিজস্ব প্রতিবেদক:
দুই বছর করোনা মহামারির কারণে তেমন কোনো আয়োজন ছিলো না বাঙালীর প্রানের উৎসব বাংলা বর্ষবরণে।
কিন্তু সব বাধা পেরিয়ে এই বছর বরিশালে অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। যে কারণে বেশ প্রস্তুতি চলছে চারুকলা বরিশালে। ব্যস্ত সময় পার করছেন শিশু থেকে প্রবীণ শিল্পীরা। কেউ বানাচ্ছেন পালকি, ঘোড়া আবার কেউবা রঙ তুলির আচরে রাঙিয়ে তুলছে হাড়ি, পাতিল, কূলা সহ নানা কিছু।
এরকমই ব্যস্ততা চলছে বরিশাল সিটি কলেজ মাঠে। দম ফেলার ফুরসত নেই চারুকলা বরিশালের শিল্পীদের। তারা জানিয়েছেন পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রাকে সুন্দর করে তুলতে তাদের এই প্রয়াস।
পহেলা এপ্রিল থেকে কাজ শুরু করেছে চারুকলা শিল্পীরা। নববর্ষ উদযাপনে যাতে কোনো কমতি না থাকে সেজন্যও চেষ্টা তো রয়েছেই তবে পবিত্র রমজান মাস থাকায় উদযাপনটি ব্যাপক জাকজমক ভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না।
পহেলা বৈশাখে হাতে রাখি পড়িয়ে সূচনা হবে আনুষ্ঠানিকতার। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দেয়ার পর শুরু হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। মঙ্গল শোভাযাত্রার পর শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা সহ নানা আয়োজন করেছে চারুকলা।
মঙ্গল শোভাযাত্রা উদযাপন পর্ষদ, চারুকলা,বরিশালের সমন্বয়ক- তমাল রায় জানান,
করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর চার দেওয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো বাংলা নববর্ষ বরণের আয়োজন। তবে এ বছর পবিত্র রমজান মাস থাকায় স্বল্প আয়োজনের মধ্যেই নববর্ষকে বরণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে চারুকলা বরিশাল। দেশবাসীর মঙ্গল কামনা করে আবহমান দেশজ সংস্কৃতির উপকরন নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা নগরের সদর রোড, হেমায়েত উদ্দিন সড়ক, চকবাজার, কাটপট্রি হয়ে আবার সিটি কলেজ প্রাঙ্গনে এসে শেষ হবে। সকলের অংশগ্রহনে উৎসবটি প্রান ফিরে পাবে, এমন আশা সংশ্লিষ্টদের।
এদিকে নববর্ষকে বরণ করতে বরিশাল জেলা প্রশাসনও সংক্ষিপ্ত কর্মসূচী পালন করবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রশান্ত কুমার দাস জানান, ১ বৈশাখ সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যেগে বঙ্গবন্ধু উদ্যান থেকে নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে শোভাযাত্রা বের করা হবে। এই শোভাযাত্রা শেষ হবে সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে। শোভাযাত্রা শেষে সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গন মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।