ববিতে কবি জীবনানন্দ দাশের মৃত্যুবার্ষিকীতে আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান আধুনিক কবি জীবনানন্দ দাশের ৭১তম মৃত্যুবার্ষিকীকে আন্তর্জাতিক সেমিনার করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)।

বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকালে জীবনানন্দ রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে ববির জীবনানন্দ দাশ কনফারেন্স হলে এই সেমিনার হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কবির অমর কবিতা ‘আবার আসিব ফিরে’ গানের সুরে গেয়ে তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ববি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, কলকাতার বাসিন্দা জীবনানন্দ গবেষক গৌতম মিত্র। ববির বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পম্পা রাণী মজুমদারের সঞ্চলনায় বিশেষ ভিডিও বার্তা প্রদান করেন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমিরেটাস যুক্তরাষ্ট্র গবেষক, লেখক ও অনুবাদক অধ্যাপক ড. ক্লিনটন বি সিলি। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, কথাসাহিত্যিক ও গবেষক ফারুক মঈনউদ্দীন। জীবনানন্দ সম্পর্কে আলোচনা করেন, ববির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মুহসিন উদ্দীন এবং বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকার।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন জীবনানন্দ দাশ রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মোহসিনা হোসাইন।
কথা সাহিত্যিক ও গবেষক ফারুক মঈনউদ্দিন প্রবন্ধ পাঠের মাধ্যমে বলেন, অনেকে বলেন- কবি হয়ত আত্মহনন করেছিলেন। তবে সেই ধারণা ভুল। যখন কবির মৃত্যু হয়েছিল ঠিক তখনই কবির জীবনের ভাগ্যের পরিবর্তন হতে থাকে। তার লেখা কাব্যগুলো প্রকাশিত হতে শুরু করেছিল। তবে তিনি ব্যক্তি জীবনে যে খুব বেশি সুখী ছিলেন না, এ জন্য তিনি নিজেই দায়ী ছিলেন। তিনি তার পরিবার এবং স্ত্রীর প্রতি সব সময় উদাসীন থাকতেন। এজন্য তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে সব সময় অবহেলার শিকার হতেন।
ড. অধ্যাপক ক্লিনটন বি সিলি ভিডিও বার্তায় বলেন, ১৯৬৩ সালে বরিশালে এসে জীবনানন্দকে নিয়ে কাজ করতে করতে আমি বরিশালের নাগরিক হয়ে গেছি।

ববি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম বলেন, কবিরা পুরো বিশ্বের সম্পদ। আমরা তাদের জীবন আচরণ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেকে গড়ে তুলতে পারি। এজন্য মহান ব্যক্তিদের জীবন পাঠসহ একাডেমিক পাঠগ্রহণের পাশাপাশি অন্যান্য জ্ঞানমূলক বই পাঠে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান তিনি।

Comments (০)
Add Comment